মেরে বোনের দাঁত ভেঙে দেয়ার অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদের জন্য আপন বড় বোনকে মারধর করে দাঁত ভেঙে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার সাইদুল ইসলাম নামে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
গুরুতর আহত বড় বোন মনোয়ারা বেগম সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার দুটি দাঁত ভেঙে গেছে। এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী আব্দুল মজিদ বাদী হয়ে ছয় জনকে আসামি করে বেলকুচি থানা আমলি আদালতে মামলা করেছেন।
আসামিরা হলেন- রান্ধুনীবাড়ী আলিমুদ্দিন গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষক সাইদুল ইসলাম, তার ভাই সাইফুল ইসলাম, ভাতিজা শরিফুল ইসলাম (সোহান), ফজিয়া খাতুন, সাহানা খাতুন ও সুমি খাতুন। মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বেলকুচি উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের চক মকিমপুর গ্রামে পৈত্রিক সম্পত্তিতে ৩০ বছর ধরে বসবাস করছিলেন মনোয়ারা বেগম। কিন্তু বোনদের সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে দীর্ঘদিন থেকেই ষড়যন্ত্র করছেন সাইদুল মাস্টার গং।
তারা কৌশলে বোনদের বাদ দিয়ে সব সম্পত্তি নিজেদের নামে রেকর্ড করিয়ে নিয়েছেন। অপরদিকে মনোয়ারাকে তার বাবার বাড়ি থেকে উচ্ছেদের জন্য হুমকি-ধামকি হামলাসহ নানা অপচেষ্টা করে যাচ্ছেন। নিরাপত্তার জন্য ২০২২ সালের ডিসেম্বরে আদালতে শান্তি রক্ষায় মামলা করেন মনোয়ারা। এ কারণে ২০২৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়।
বেলকুচি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল বারেক বলেন, চক মকিমপুর গ্রামের একজন নারীকে মারধর করে আহত করার কথা আমরা শুনেছি। এ ব্যাপারে আদালতে মামলা হয়েছে। পিটিশনটি থানায় এলে তদন্ত করে আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রধান শিক্ষক সাইদুল ইসলাম বোনকে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ভাবি আর ভাতিজিদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি হয়েছে মাত্র। তিনি বলেন, বোনকে সম্পত্তি দেয়ার জন্য আমি অজু করে বসে আছি। আমার সাত বোনকেই জমিজমা বুঝিয়ে দিয়েছি। এই বোনটা কেস করার কারণে বুঝিয়ে দেয় নাই। তাকে বললাম কেস তুলে নিয়ে সম্পত্তি বুঝে নাও। তার কথা বাড়ির ভাগ নেব।