ঢাকা | মে ১০, ২০২৫ - ৩:৫৭ অপরাহ্ন

মান্দায় তদন্ত না করেই ফিরে গেলেন কমিটি

  • আপডেট: Sunday, April 13, 2025 - 11:07 pm

প্রধান শিক্ষকের নানা অনিয়ম

মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধি: দশম শ্রেণির ছাত্রীকে বাল্যবিয়েসহ প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেনের বিভিন্ন অনিয়মের তদন্ত করতে গঠন করা হয়েছে তিন সদস্যের কমিটি। রোববার দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্তের জন্য উভয়পক্ষকে পত্রও দেয়া হয়েছিল। যথা সময়ে নওগাঁর মান্দা উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে উপস্থিত হন তদন্ত কমিটি। কিন্তু তদন্ত শুরু না করেই তা স্থগিত করে দেন তদন্ত কমিটি। বিষয়টি জানার পর বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন স্থানীয় লোকজন।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেনকে অভিযোগের দায় থেকে বাঁচাতে শুরু থেকেই টালবাহান করছেন স্থানীয় প্রশাসন। একই তালে তাল মিলিয়েছেন তদন্ত কমিটিও। এটি তদন্তের নামে আইওয়াশ, অনেকে বলছেন প্রহসন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতিসহ দশম শ্রেণির ছাত্রীকে বাল্যবিয়ের বিষয়ে তদন্তসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে ইউএনও বরাবর অভিযোগ করেন স্থানীয় লোকজন। গত ২৭ মার্চ দাখিল করা অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

তদন্ত কমিটির প্রধানের দায়িত্ব দেয়া হয় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহ্ আলম সেখকে। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন চককামদেব বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বাশিস মান্দা উপজেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল লতিফ মৃধা এবং প্রতিষ্ঠানের ছাত্রী অভিভাবক মিলন হোসেন।

রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে এসব বিষয়ে তদন্তের দিন ধার্য্য ছিল। এ প্রসঙ্গে অভিযোগকারী ময়েজ উদ্দিন বলেন, নিজ প্রতিষ্ঠানের ছাত্রীকে বাল্যবিয়ে করে তৃতীয় স্ত্রী হিসেবে ঘরে তোলেন প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেন। এছাড়াও প্রাতিষ্ঠানিক অনেক অনিয়ম ও দুর্নীতি রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগ থেকে বাঁচাতে দায়সারাভাবে কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসন। ময়েজ উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, এখন পর্যন্ত দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়নি। স্বপদে বহাল থেকে অভিযোগ ঠেকাতে তদবির করে যাচ্ছেন। এতে করে তদন্ত কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

তদন্ত কমিটির কার্যক্রম দেখে মনে হচ্ছে আইওয়াশ মাত্র। তদন্ত স্থগিত হওয়া প্রসঙ্গে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহ্ আলম সেখ বলেন, তদন্ত কমিটির ছাত্রী অভিভাবক সদস্য মিলন হোসেন নিজেই অভিযোগকারী। এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেন অভিযোগ দিয়েছেন। তাই তদন্ত কাজ স্থগিত করতে হয়েছে। পরবর্তীতে পুনরায় কমিটি গঠন করে তদন্ত কাজ সম্পন্ন করা হবে।

Hi-performance fast WordPress hosting by FireVPS