ঢাকা | মার্চ ২৬, ২০২৫ - ৫:৫০ পূর্বাহ্ন

ঈদের কেনাকাটায় জমে উঠেছে শাড়ির বাজার

  • আপডেট: Sunday, March 23, 2025 - 11:46 pm

কবীর তুহিন: কেউ খুঁজছেন জামদানি, তো কেউ খুঁজছেন কাতান। বেনারসি, টাঙ্গাইলসহ এ রকম নানান বাহারি শাড়ি রয়েছে নগরীর সাহেববাজার জুড়ে। প্রতিবছর ঈদুল ফিতর এলেই শাড়ি বেচাকেনার ধুম পড়ে যায় এখানে। এবারও ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ১৫ রোজার পরই জমে উঠেছে সাহেববাজার, আরডিএ মার্কেট ও নিউ মার্কেটের বেচাকেনা।

সিল্কের শাড়ির জন্য বিখ্যাত সপুরা সিল্ক, উষা সিল্ক ও রাজশাহী সিল্কসহ বিসিক’র অন্যান্য শো-রুম গুলোতে শাড়ি কিনতে ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সাহেববাজার কাপড় পট্টি থেকে শাড়ি কিনতে এসেছেন নাজনীন।

তিনি বলেন, মা-শাশুড়ি আর নিজের জন্য শাড়ি নিয়েছি। টাঙ্গাইল আর তাঁতের শাড়ির দাম কিছুটা কম হলেও জামদানি শাড়ির বরাবরের মতো দাম বেশি। টাঙ্গাইলের তিনটা শাড়ি নিয়েছি ৬ হাজার ৫০০ টাকায়। আরডিএ থেকে শাড়ি কিনতে এসেছেন ফারিয়া তিথি।

সোনালী সংবাদকে তিনি বলেন, আরডিএ মার্কেটে‘র শাড়ির মান ভালো, ডিজাইনেও বৈচিত্র আছে। জামদানি কেনার ইচ্ছা আছে। তবে একই শাড়ি গত বছর যে দামে পাওয়া যেত, এবার তার দাম কিছুটা বেশি মনে হচ্ছে। বাচ্চাদের আগে কিনে ফেলেছি, এবার শাড়ি কেনার পালা।

আরডিএ মার্কেটের রাজ্জাক বস্ত্রালয়ের স্বাত্বাধিকারী আব্দুল রাজ্জাক বলেন, আমাদের শো-রুমে তাঁতের শাড়ি পাওয়া যাচ্ছে ১০০০ থেকে ২৫০০ টাকার মধ্যে। অন্যদিকে, জামদানি শাড়ির দাম এখানে ৮ হাজার থেকে শুরু করে ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সুতি শাড়ি বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ৩০০০ টাকায়।

তিনি বলেন, আরডিএ মার্কেট ও সাহেববাজার কাপড় পট্টিতে ডিজাইনের ওপর নির্ভর করে ১০০০ থেকে শুরু করে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত শাড়ি রয়েছে।

জমির অ্যান্ড সন্স এর কর্মচারী বলেন, অন্যবারের মতো এ বছরও ২০০০ থেকে ৩৫০০ টাকা দামে সুতি শাড়ি বিক্রি হচ্ছে। জামদানি শাড়ির ক্রেতা খুব বেশি নেই। তবে ঈদের আগ পর্যন্ত এই শাড়ির জন্য ক্রেতার আনাগোনা অনেক থাকে। যাদের পছন্দ হয়, মনে ধরে যায় তারা দামের কথা চিন্তা করে না।

এছাড়া আমাদের এখানে কুমিল্লা খাদি শাড়ি বেশি চলে। সকালে কাস্টমার খুব কম হয়। সন্ধ্যার পর ভিড় জমে। বেশির ভাগ মানুষ ১২০০ থেকে ৩০০০ এর মধ্যে শাড়ি খোঁজেন। আমার মতে, আমি আগের মতো জমজমাট দেখছি না। এই এক সপ্তাহ কাস্টমারের চাপ থাকার কথা। দেখা যাক কী হয়।

মাসুম ম্যাচিং সেন্টারের মাসুম বলেন, ঈদের আগের দুই সপ্তাহ বেচাকেনার মূল সময়। গত সপ্তাহ থেকে এই সপ্তাহে বিক্রির প্রত্যাশা বেশি। গতবারের চেয়ে এবার শাড়ীর দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, হাতেবোনা অনেক ডিজাইনের কারণে শাড়ির দাম বাড়ে।

এছাড়া সুতা, রং ও অন্যান্য উপকরণের দাম বেড়ে গেছে, ফলে শাড়ির দামও স্বাভাবিক ভাবে বেড়েছে। তিনি আরো বলেন, এখনো সেভাবে জমেনি শাড়ি বেচাবিক্রি। তবে চাঁদরাত পর্যন্ত সময় আছে। তারা আশা করছেন, সবকিছু ঠিক থাকলে এবার ভালো বেচাকেনা হবে।