ঝড়ে খুপরি ঘরে পড়ল বিশাল আকৃতির গাছ
দুর্গাপুর প্রতিনিধি: দুর্গাপুর উপজেলার তিওরকুড়ি লক্ষীপুর গ্রামে রাস্তার ধারে খুপরিঘরে এক ছেলে স্ত্রী ও বৃদ্ধ মাকে নিয়ে বসাবস করেন দিনমজুর কছিমুদ্দিন। গত রোববার রাত দেঁড়টার দিকে কাল বৈখাশী ঝড়ে বিশাল আকৃতির কড়ই গাছটি আছড়ে পড়ে তাঁর খুপরি ঘরের ওপর। এ সময় টিনসেডের খুপরি ঘরগুলো দুমড়েমুচড়ে গেলেও ভাগ্যক্রমে প্রাণে বেচে যায় কছিমুদ্দিনসহ তাঁর পরিবারের চার সদস্য। এ ঘটনার পর স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে অভিযোগ দিয়েছেন তিনি। তবে রাস্তার ধারে আছড়ে পড়া সরকারী গাছটি এখনো সরানো হয়নি তাঁর খুপরি ঘরের ওপর থেকে। ফলে তিনদিন ধরে খোলা আকাশের নিচে রাত্রি যাপন করছেন ওই দিনমজুর পরিবার।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, একটি বিশাল আকৃতির কড়ই গাছ আছড়ে পড়ে আছে কছিমুদ্দিনের খুপরি ঘরের ওপর। খুপরি ঘরের টিন আসবাবপত্র ভেঙে লন্ডভন্ড হয়ে পড়ে আছে। বিশাল আকৃতির কড়ই গাছটি পড়ায় ঘরে থাকার কোন জায়গা নাই। চার শতক জায়গার ওপর দুইটি টিনশেড ঘরে কছিমুদ্দিনের বসবাস চার সদস্যের পরিবার নিয়ে। গত রোববার রাতে দেঁড়টার দিকে ঝড়ে খুপরি ঘরের মাঝখানে আছড়ে পড়ার সময় দুই পাশে ঘুমিয়ে ছিলেন কছিমুদ্দিনের পরিবারের সদস্যরা। তবে ভাগ্যক্রমে প্রাণে বেচে গেছেন সবাই।
দিনমজুর কছিমুদ্দিন বলেন, ঘটনার তিনদিন ধরে খোলা আকাশের নিচে বাড়ির উঠানে রাত্রিযাপন করছি। ইউপি চেয়ারম্যানকে অভিযোগ দিয়েছি। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন গাছটি সরিয়ে নেওয়ার। এখনও গাছটি বাড়ির ওপর থেকে সরানো হয়নি। তিনি বলেন, দিন এনে দিন খাই। আমি ও আমার স্ত্রী দুইজনই দিনমজুর কৃষি কাজ করি। ভূমিহীন থেকে রাস্তার ধারে চারশতক জায়গা কিনেছি। ঝড়ে গাছটি খুপরি ঘরের ওপর পড়ায় মাথা গোজার ঠাঁইটুক ভেঙে গেল। গাছটি সরিয়ে নিলেও খুপরি ঘরটি মেরামত করার মত সামর্থও আমার নেই।
দেলুয়াবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে আমি গিয়েছিলাম। ওই পরিবারের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁরা খুবই হৃতদরিদ্র। গাছটি সরকারী হওয়ায় এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। দ্রুত গাছটি ওই বাড়ির ওপর থেকে সরানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা সোহেল রানা বলেন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এ বিষয়ে আমাকে জানিয়েছে। উপজেলা প্রশাসন থেকে গাছটি সরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গাছ পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ওই পরিবারের বিষয়ে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।