রাজশাহীতে খোকন হত্যা মামলায় ৯ জনের যাবজ্জীবন
স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর চারঘাটে চাঞ্চল্যকর খোকন আলী হত্যা মামলায় ৯ জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এই মামলায় ২৭ জনকে আসামি করা হলেও একজন জামিনে থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
বাকি ২৬ জনের মধ্যে ৯ জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় ১৭ জনকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।
বৃহস্পতিবার রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মহিদুজ্জামান এই রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণাকালে আসামিরা উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রায় ঘোষণার পর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের পিপি এন্তাজুল হক বাবু এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার জোতকার্তিক আদর্শ গ্রামে মসজিদ কমিটির একটি ইফতার মাহফিল আয়োজনকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে খোকন নিহত হয়েছিলেন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার জোতকার্তিক আদর্শ গ্রামের আজগর আলীর ছেলে জিয়ারুল ইসলাম, নবীর উদ্দিনের ছেলে মো. রনি, মৃত আফজ উদ্দিন শাহের ছেলে শাহজাহান আলী সাজু, আবু বক্করের ছেলে মিলন আলী, মৃত এরফান আলীর ছেলে সেকেন্দার আলী ও হায়দার আলী, মৃত নূর মোহাম্মদের ছেলে ইমরান আলী, মৃত রফেজ উদ্দিনের ছেলে আশরাফ আলী ও ফজলুল হকের ছেলে ফারুক হোসেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু জানান, ২০২২ সালের ৬ রমজান বিকেলে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার নন্দনগাছী ইউনিয়নের একটি মসজিদ কমিটির ইফতার মাহফিল আয়োজন নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে খোকন আলী নিহত হন। এছাড়া ওই সংঘর্ষের ঘটনায় আরও ৯ জন আহত হন।
ঘটনার পর দিন নিহত খোকনের স্ত্রী রুপা বেগম বাদী হয়ে ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে চারঘাট থানায় এজাহার করেন। তবে তদন্ত শেষে পুলিশ ২৭ জন আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয়। এর মধ্যে বিচার চলাকালে ইমাজ উদ্দিন নামের এক আসামির মৃত্যু হয়। পরে মামলায় মোট ২৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।
এতে ৯ আসামির বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। এছাড়া অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় বাকি ১৭ জনকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।