ঢাকা | ডিসেম্বর ২৯, ২০২৪ - ৬:০৩ অপরাহ্ন

ওয়াসা এমডির বাসায় সরবরাহের পানিতেও ‘গন্ধ’

  • আপডেট: Tuesday, April 5, 2022 - 8:37 pm

 

অনলাইন ডেস্ক: তার বাসায় সরবরাহের পানিও গন্ধযুক্ত বলে জানিয়েছেন ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান। ওয়াসার পানি পরিশোধনের পরও কেন গন্ধ থাকছে ব্যাখ্যায় তিনি বলেছেন, শীতলক্ষ্যার চরম দূষিত পানি পরিশোধনের পরও তাতে অ্যামোনিয়ার গন্ধ থেকে যায়। তাই কিছু এলাকার পানিতে এ গন্ধ থাকে।

মঙ্গলবার ঢাকা ইউটিলিটি রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডুরা) ‘নগরবাসীর চাহিদা—ঢাকা ওয়াসার সক্ষমতা’ শীর্ষক এক সংলাপে অংশ নিয়ে ওয়াসার এমডি একথা বলেন। রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে মূল বক্তা ছিলেন তাকসিম এ খান।

ওয়াসার এমডি দাবি করেন, ঢাকা শহরের সেবা খাতগুলো সূচকের দিক থেকে নিচের দিকে থাকলেও পানি ব্যবস্থাপনায় ঢাকা ওয়াসা এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ওপরে।

নগরবাসীকে পানি ফুটিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে তাকসিম এ খান বলেন, ‘আমাদের ৫ থেকে ১০ শতাংশ জায়গায় মাঝে মধ্যে পাইপ ফাটা থাকে। যখনই অভিযোগ পাই সঙ্গে সঙ্গে আমরা তা ঠিক করে দেই। তারপরও কিছু জায়গায় সমস্যা হয়। নয়া পল্টনে আমার নিজের বাসাতেই সরবরাহের পানিতে কিছুটা গন্ধ আছে।’

ডায়রিয়ায় প্রকোপে ওয়াসার দায় আছে কি-না জানতে চাইলে ওয়াসা এমডি বলেন, ‘আইসিডিডিআরবি আমাদের ৯টা জায়গার লিস্ট দিয়েছে যেসব এলাকায় ডায়রিয়া বেশি। ল্যাব টেস্ট করিয়ে সেগুলোতে কোনো ব্যাকটেরিয়া পাওয়া যায়নি। তারপরও সাবধানতা হিসেবে সে জায়গাগুলোতে আমরা ক্লোরিন বাড়িয়ে দিয়েছি।’

ওয়াসার উৎপাদন সক্ষমতা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে ওয়াসা এমডি বলেন, ‘ঢাকায় পানির টোটাল চাহিদা ২১০ কোটি থেকে ২৫০ কোটি লিটার পর্যন্ত হয়। আমাদের উৎপাদন ক্ষমতা ২৭০ কোটি লিটার। তাই রমজানে কোথাও পানির সংকট হবে না।’

তিনি বলেন, ‘দেশের সার্বিক জিডিপির ৪৫ ভাগ ঢাকা থেকে আসে। ঢাকায় যদি পানি সংকট হয় তার প্রভাব সরাসরি জিডিপিতে পড়বে। এ কারণে ঢাকা ওয়াসা দেশের উন্নয়নের সাথে তাল মিলিয়ে গতানুগতিকতার বাইরে এসে কর্মসূচি গ্রহণ করছে এবং নগরবাসীকে সেবা নিশ্চিত করে যাচ্ছে।’

ঢাকায় ক্রমাগত মানুষ বেড়ে যাওয়া সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ঢাকায় কাগজে কলমে মানুষের সংখ্যা ১ কোটি ৭০ লাখ। আমরা ২ কোটি মানুষের কথা মাথায় রেখে সেবা দেই। এখন আবার অনেকে বলছেন মানুষ হয়ে গেছে বর্তমানে ২ কোটি ৩০ লাখ। এতগুলো মানুষ হুট করে বেড়ে গেলে চাহিদা পূরণ করতে মাঝে মাঝে হিমশিম খেতে হয়।’

ডুরা সভাপতি রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শাহেদ শফিকের সঞ্চালনায় সংলাপে অন্যদের মধ্যে ঢাকা ওয়াসার কারিগরি পরিচালক শহীদ উদ্দিন, সচিব শারমিন এবং ডুরা নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।