নিখোঁজের দুই দিন পর ব্যবসায়ীর হাত-পা মুখ বাঁধা লাশ উদ্ধার
অনলাইন ডেস্ক: নাটোরের গুরুদাসপুরের আব্দুল গফফার (৫৬) নামে এক লিচু ব্যবসায়ী নিখোঁজের দুই দিন পর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৬ জনকে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতুর পশ্চিম পাড় গোলচত্বর থেকে তাদের আটক করেছে র্যাব-১২।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- নাটোর সদর উপজেলার দিয়া সাতুরিয়া গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে সাইদুর রহমান (২৮), গাজীপুর গ্রামের হাফিজ উদ্দিনের ছেলে আজিজুল হক (৪৮), কাঁঠালবাড়িয়া গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে মোজাম্মেল হক (৪৫), বড়বাড়িয়া গ্রামের শামসু মিয়ার ছেলে মতিউর রহমান (৪৩), ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার বিটিবাড়ী গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে উজ্জ্বল হোসেন (৩৪) এবং টাঙ্গাইলের মধুপুরের কুটিবাড়ী চাঁনপুরের আব্দুল জলিলের ছেলে সুজন মিয়া (২৯)।
নিহত আব্দুল গফফার গুরুদাসপুরের তালবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল সাত্তারের ছেলে।
মামলার এজাহার থানা সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত পৌনে ৯টার দিকে নিহত আব্দুল গফফার ও আহত সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার হেলাল শেখ নামে দুই লিচু ব্যবসায়ী লিচু কিনে পাবনার দাশুড়িয়া মোড় থেকে ট্রাকে ওঠেন। তারা দুইজন ছাড়াও ট্রাকে আরও ৬-৭ জন ব্যক্তি ছিল। তারা নিজেদের গরু ব্যবসায়ী বলে পরিচয় দেয়।
বনপাড়া পার হওয়ার পর ট্রাকের কেবিনে থাকা আব্দুল গফফারকে হত্যা করে। কাছিকাটা টোল প্লাজা পার হওয়ার পর হেলালকে মুখ, হাত-পা বেঁধে মারপিট করলে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। উল্লাপাড়া উপজেলার বোয়ালিয়া এলাকায় দুইজনকে কাছাকাছি দূরত্বে রাস্তার পাশে ফেলে চলে যায়। হেলালের জ্ঞান ফিরে পেলে তার চিৎকারে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে অজ্ঞাত হিসেবে গফফারের লাশ উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ মুনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমাগারে রেখে দেন।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে নিহত গফফারের পরিচয় শনাক্ত হয়। রাতে গফফারের নিজ গ্রাম গুরুদাসপুরের তালবারিয়ায় দাফন সম্পন্ন হয়। বুধবার আহত হেলাল বাদী হয়ে উল্লাপাড়া থানায় মামলা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রুহুল জানান, আসামিরা আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
উল্লাপাড়া মডেল থানার ওসি আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম বলেন, তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারে দ্রুত আসামিদের শনাক্ত ও গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে।
সোনালী/ সা