রাজশাহী বিভাগের তিন জেলায় বজ্রপাতে পাঁচজনের মৃত্যু
সোনালী ডেস্ক: আজ শুক্রবার বজ্রপাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ ও ভোলাহাট, নওগাঁর মান্দা এবং নাটোরের নলডাঙায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
শিবগঞ্জ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, শিবগঞ্জে বজ্রপাতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। মৃতরা হলেন- শিবগঞ্জ পৌরসভার আলীডাঙ্গা পদ্মা গোরস্থান সংলগ্ন এলাকার সুভাস ভকতের স্ত্রী ববি ভকত (৩২) ও উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের দক্ষিণপাঁকা নিশিপাড়ার এরশাদ আলীর মেয়ে কবিতা খাতুন (৮)।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, বিকেল ৩টার দিকে ববি তার বাড়ির সামনের একটি আমবাগানে দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় ঝড়ো হাওয়ার সাথে বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এর আগে বাড়ির পেছনে টিউবওয়েলে পানি আনতে যাবার সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থল মৃত্যু হয় কবিতা খাতুনের। তিনি আরও জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিগগিরই নিহত দুই পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে।
অন্যদিকে ভোলাহাট (চাঁপাইসবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, ভোলাহাটে আম বাগানে ঝড়বৃষ্টির সময় উপজেলার বড়গাছি গ্রামের হঠাৎপাড়া এলাকার একটি আমবাগানে আম কুড়াতে গেলে বজ্রপাতে হঠাৎ মাটিতে পড়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে আমেনা খাতুন (১০)। স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে ভোলাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধি জানান, মান্দায় বোরো ধানের জমিতে ধান জড়ানোর কাজ করতে গিয়ে বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার মান্দা সদর ইউনিয়নের ভোলাম গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত কৃষকের নাম সামশুল আলম মণ্ডল (৩০)। তিনি ভোলাম গ্রামের ফইম উদ্দিন মণ্ডলের ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল কুদ্দুস জানান, শুক্রবার বিকেলে হঠাৎ করেই পশ্চিম আকাশ কালো মেঘে ঢেকে যায়। কৃষক সামশুল আলম মেঘ দেখে বাড়ির পাশে রনাহার মাঠে জমিতে ছেড়ে দেওয়া বোরো ধানের আঁটি এক জায়গায় জড়ানোর জন্য যান। স্ত্রী লালবানু বিবিও তার সঙ্গে ছিলেন।
এসময় হঠাৎ বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। বিষয়টি নিশ্চিত করেন মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক কাজী। তিনি বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহত সামশুল আলমের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
নাটোর প্রতিনিধি জানান, নাটোরের নলডাঙা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের কবরস্থান সংলগ্ন বারনই নদীতে মাছ ধরার সময় বজ্রপাতে মো. কামরুল হোসেন (৩৫) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন মো. মজনু (৪০) নামে একজন।
শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কামরুল একই উপজেলার কোমরপুর গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে। আর আহত মজনু একই গ্রামের আহমদ আলীর ছেলে।
ব্রহ্মপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান এস এম আশরাফুজ্জামান মিঠু এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, দুপুরে বারনই নদীতে জাল দিয়ে মাছ ধরার সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই কামরুলের মৃত্যু হয় এবং আহত হন মজনু। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজনসহ স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে কামরুলের লাশ এবং আহত মজনুকে উদ্ধার করেন। বর্তমানে মজনু চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দেওয়ান আকরামুল হক বলেন, বজ্রপাতে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
সোনালী/জেআর