মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ট দুর্গাপুর পৌরবাসী
দুর্গাপুর প্রতিনিধি: চৈত্রের তাপদাহের ভ্যাপসা গরমে মধ্যে মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে দুর্গাপুর পৌরবাসী। মশা নিধনের উদ্দ্যোগ না থাকায় দিন-রাত সমান তালে চলছে মশার দংশন। কয়েল জ্বালিয়েও রেহাই পাচ্ছে মানুষ। মশার উপদ্রব বেড়ে গেলেও তা নিধনে দুর্গাপুর পৌরসভা কর্তৃপক্ষ রয়েছে নিরব। ফলে মশার যন্ত্রণায় হাঁপিয়ে উঠছে পৌরবাসী। মশার দংশন থেকে রেহাই পাচ্ছে না গৃহপালিত পশুরাও।
দুর্গাপুর পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে লোকজনদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, দিন-রাত মশার যন্ত্রণায় তাঁরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠছেন। মশা নিধনে পৌরসভার কাযক্রম নিয়ে পৌরবাসীর মধ্যে বিরাজ করছে অসন্তোষ। মশার উপদ্রবে করোনাকালে স্কুল কলেজ বন্ধ বাড়িতে বসে পড়াশোনা করা শিক্ষার্থীরাও পড়েছে বেকায়দায়। মশার দংশনে আর ভন-ভনানিতে শুধু মানুষ নয় গৃহপালিত পশুরাও নেই স্বস্তিতে।
বেকায়দায় রয়েছে শিশু, বৃদ্ধ এবং হাসপাতালের রোগীরাও। মশার দাপটে পৌর এলাকার বাসিন্দাদের রাতের ঘুম হারাম করে তোলেছে। দিনের বেলা ঘুমাতেই গেলেও মশারি ব্যবহার করতে হচ্ছে। রাতে বিভিন্ন প্রকার কয়েল জ্বালিয়েও মশা থেকে রক্ষা পাওয়া যাচ্ছে না মানুষ। বিড়ম্বনায় পড়েছেন দুর্গাপুর স্বাস্থকমপ্লেক্সের রোগী ও স্বজনরা।
দুর্গাপুর পৌর সদর বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী সুলতান মাহমুদ বলেন, মশার দাপটে দোকান ঘরে বসে থাকাই মুশকিল। প্রতিদিন দিনে দুইটি করে কয়েল খরচ করতে হচ্ছে। তাতে আশানুরুপ ফল পাওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে বেড়েছে ব্যয়। তিনি অতি দ্রুত মশা নিধনে পৌর মেয়রের হস্তক্ষেপ কামণা করেন।
এদিকে মশার যন্ত্রণা থেকে বাদ পড়েনি গৃহপালিত পশুরাও। মশার যন্ত্রনায় গবাদি পশু খামার মালিকরাও রয়েছেন বিপাকে। পৌর এলাকার দেবীপুর এলাকার গরুর খামার মালিক দেলোয়ার হোসেন দলু জানান, হঠাৎ মশার উৎপাত বেড়েছে। মশার বংশ বৃদ্ধিতে মশার আক্রমণ তীব্র হয়েছে। তিনি বলেন, তার প্রতি রাতে খামারে দশটি করে কয়েল জ্বালাতে হতো। মশার বৃদ্ধি পাওয়া সেই পরিমাণ কয়েল দিনেও জ্বালাতে হচ্ছে।
জানতে চাইলে দুর্গাপুর পৌরসভার প্রকৌশলী সাহাবুল হক বলেন, আবার হঠাৎ মশার উৎপাত বেড়েছে। বরাদ্দের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যেই মশা নিধনের কাজ শুরু হবে। এদিকে, এ বিষয়ে জানতে দুর্গাপুর পৌরসভার মেয়র তোফাজ্জল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁর নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।