আহত ফুফুকে দেখতে গিয়ে খুন হলেন রিয়াদ
অনলাইন ডেস্ক: নেত্রকোনা সদরে জমিসংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষের হাতে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। রোববার বেলা ১১টার দিকে ওই উপজেলার চল্লিশা ইউনিয়নের লাইট গ্রামে প্রতিপক্ষের দায়ের আঘাতে খায়রুল ইসলাম রিয়াদ (৩২) নামে ওই ব্যক্তি মারা যান। এ সময় এক নারীসহ তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
নিহত রিয়াদ ওই ইউনিয়নের বামনীকোণা গ্রামের আব্দুল মোতালেবের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, জেলার সদর উপজেলার চল্লিশা ইউনিয়নের লাইট গ্রামের আব্দুস সাত্তারের সঙ্গে একই এলাকার রাকেল মিয়ার দীর্ঘদিন যাবত জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে জমিতে খুঁটি পুঁততে গেলে আব্দুস সাত্তারের পরিবারের লোকজনের ওপর হামলা চালায় প্রতিপক্ষের লোকজন। ওই দিন আব্দুস সাত্তার ও তার স্ত্রী রুকিয়া আক্তার (৬০) আহত হলে রাতে তাকে দেখতে যান রুকিয়ার ভাতিজা খায়রুল ইসলাম রিয়াদ।
পরে রোববার সকালে বাড়িতে ফেরার পথে আবারো রিয়াদের ওপর হামলা চালানো হয়। এ সময় রিয়াদ, আব্দুস সাত্তার ও তার স্ত্রী রোকেয়া আক্তারসহ পাঁচজন গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আহত রিয়াদকে মৃত ঘোষণা করেন।
নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার একরামুল হাসান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গুরুতর আহত আব্দুস সাত্তার, রুকিয়া আক্তার ও আজাহার মিয়াকে মুমূর্ষু অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
আব্দুস সাত্তারের ছেলে জহিরুল ইসলাম বলেন, পারিবারিক কলহে প্রতিপক্ষের লোকজন শনিবার বিকালে আমার মা-বাবাকে মারধর করে। রোববার সকালে আমার মামাতো ভাই রিয়াদ আমার মাকে দেখতে এলে বেলা ১১টার দিকে প্রতিপক্ষের বাবলু মিয়া, রাকেল মিয়া, রুমন মিয়া, সুমন মিয়া, কামরুল ইসলাম লোকজন নিয়ে এসে আবারো অতর্কিত হামলা চালায়। আমার মামাতো ভাই রিয়াদকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এ সময় আমার মা ও বাবাকেও কুপিয়ে আহত করে। পরে আমার মা ও বাবাসহ তিনজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি আবুল কালাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া চলছে। এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
নেত্রকোনা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফয়েজ আহম্মদ বলেন, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে একজনকে কুপিয়ে হত্যার করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
সোনালী/ সা