সংবাদ প্রকাশ করায় রাজশাহীতে সাংবাদিকের নামে মামলা
স্টাফ রিপোর্টার: সংবাদ প্রকাশের জেরে রাজশাহীতে কর্মরত দেশ টিভির বিশেষ প্রতিনিধি ও রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের (আরইউজে) সাবেক সভাপতি কাজী শাহেদের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনাল মামলাটি আমলে নিয়ে আরএমপির চন্দ্রিমা থানার ওসিকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
মামলার অভিযোগ ও প্রচারিত সংবাদ সূত্রে জানা যায়, পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা শামসুল আরেফিন রাসিকের ১৯ নম্বর কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন ও রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের ব্যবসায়িক পার্টনার শামসুজ্জামান আওয়ালের বিরুদ্ধে গত বছরের নভেম্বর মাসে চন্দ্রিমা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, রাজশাহীর পবা উপজেলার মুসরইল এলাকায় তার ৯ বিঘা জমি রয়েছে। বর্তমানে যার বাজার মূল্য শত কোটি টাকা। ওই জমি হাতিয়ে নেয়ার জন্য নানা কৌশল অবলম্বন করছেন অভিযুক্ত দুই ব্যক্তি। তবে তাতে কাজ না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত লোক লাগিয়ে তাকে হত্যার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে আদালতে একটি ফৌজদারি রিভিশন মামলাও দায়ের করেন তিনি। মামলার অভিযোগের বরাত দিয়ে গত ৬ মে দেশ টিভির সাংবাদিক কাজী শাহেদ সংশ্লিষ্ট টিভি চ্যানেলে সংবাদ প্রচার করেন। যেখানে উভয় পক্ষের বক্তব্য তুলে ধরা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, উক্ত সংবাদ প্রচারের ফলে বাদি ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন মানসিকভাবে আহত হন, সামাজিকভাবে হেয় হন এবং জনগণের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখিন হন। এমন অবস্থায় তিনি এ বিষয়ে থানায় মামলা করতে গেলে থানার পরামর্শে তিনি আদালতের শরণাপন্ন হন।
মামলায় কাজী শাহেদের পাশাপাশি জমির মালিক ও ফৌজদারি রিভিশন মামলাটির বাদি সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা শামসুল আরেফিনকেও আসামি করা হয়েছে। আর ৬ জনকে সাক্ষী হিসেবে দেখানো হয়েছে, যাদের মধ্যে শামসুজ্জামান আওয়ালও রয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আদালতের ওপর পূর্ণ আস্থার কথা জানিয়ে সাংবাদিক কাজী শাহেদ বলেন, ‘কোনো সংবাদে কেউ সংক্ষুব্ধ হলে তিনি প্রতিবাদ দিতে পারেন। প্রেস কাউন্সিলেও যেতে পারেন। রাষ্ট্রের আইন সেই পথ রেখে দিয়েছে। কিন্তু সেগুলো বাদ দিয়ে প্রকাশিত সংবাদের জন্য সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করার উদ্দেশ্য হলো আমাকে হয়রানি করা।’
শাহেদ আরও বলেন, ‘আদালতে দায়ের করা একটি ফৌজদারি রিভিশনের ওপর ভিত্তি করে সংবাদটি করা হয়েছে। সেই সংবাদের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে যাবার উদ্দেশ্যই প্রশ্নবিদ্ধ।’
চন্দ্রিমা থানার ওসি মাহাবুব আলম বলেন, ‘আদালতের নির্দেশনাসহ একটি মামলার আবেদন পেয়েছি। পরিদর্শক পদমর্যাদার একজনকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।’
সোনালী/জেআর