দুর্গাপুরে নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গ করায় অধ্যক্ষ মোজাম্মেলকে শোকজ
দুর্গাপুর প্রতিনিধি: রাজশাহী জেলার দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে দাওকান্দি সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।
বুধবার রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও রিটার্নিং অফিসার কল্যাণ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে মোজাম্মেল হককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। চিঠিতে ৩ কার্য দিবসের মধ্যে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।
শোকজ নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘আগামী ২১ মে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে দুর্গাপুর উপজেলার স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মো: শরিফুজ্জামান মোটর সাইকেল প্রতীকের পক্ষে আপনি একজন সরকারি দায়িত্বশীল কর্মকর্তা হয়ে সরাসরি নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।’
‘আপনার এমন কর্মকাণ্ড উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি ২২ (১) এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এমন অবস্থায় আপনার বিরুদ্ধে কেন বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা চিঠি পাওয়ার তিন কার্যদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য বলা হলো।’
এ নিয়ে জানতে চাইলে দাওকান্দি সরকারি ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আমি কোন আচরণবিধির লংঘন করিনি। ওরা প্রোগ্রাম করছিলো, আমি এমনিতে বসেছিলাম। তাছাড়া আমি কোনো দায়িত্বেও নাই।’
যদিও গত রোববার দুর্গাপুরের জয়নগর ইউনিয়নের হরিরামপুর স্কুলে মাঠে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মো: শরিফুজ্জামানের পক্ষে একটি বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়। সেই বর্ধিত সভা থেকে একটি নির্বাচন কমিটি গঠন করা হয়।
ওই কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে মোজাম্মেল হকের নাম ঘোষণা করা হয়। অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক ওই বর্ধিত সভার মঞ্চে উপস্থিত থেকে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মো: শরিফুজ্জামানের পক্ষে বক্তব্যও রাখেন।
এছাড়াও এর আগে গত ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হককে শোকজড্ করেছিলো নির্বাচন কমিশন। ওই রাজনীতি করেন না মর্মে দায় এড়াতে ইসি’র কাছে লিখিত মুচলেকা দিয়েছিলেন অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক।
সোনালী/জেআর