ঢাকা | নভেম্বর ২৫, ২০২৪ - ৮:৫৭ পূর্বাহ্ন

ঘরে মায়ের লাশ রেখে বড় ছেলে ও তাঁর স্ত্রীর স্বাভাবিক চলাফেরা

  • আপডেট: Thursday, March 31, 2022 - 10:52 pm

স্টাফ রিপোর্টার: ঘরে মায়ের লাশ রেখে স্বাভাবিক চলাফেরা ও আচরণ করছিলেন বড় ছেলে ও তাঁর স্ত্রী। বাড়িতে মাকে দেখতে না পেয়ে ছোট ছেলের সন্দেহ হয়। একপর্যায়ে তিনি ঘরের ভেতরে ঢুকে মায়ের ঝুলন্ত লাশ শনাক্ত করেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত বড় ছেলে ও তাঁর স্ত্রী পলাতক। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার যোগীপাড়া গ্রামে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, যোগীপাড়া গ্রামের শাহিদা বেওয়া (৭০) স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে ছেলেদের সঙ্গে থাকতেন। স্বামীর জমি বড় ছেলে হামিদুল ইসলাম ভোগদখল করে আসছেন। কিছুদিন ধরে হামিদুল ও তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্য হয় শাহিদার। তাঁরা খাবার দেওয়াও বন্ধ করে দেন মাকে। শাহিদা অন্য স্বজনদের সহযোগিতায় কোনো রকমে দিনযাপন করছিলেন। বুধবার রাতে হামিদুল ও তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে শাহিদার ঝগড়া হয়। পরে পাশাপাশি ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন শাহিদা।

সকালে হামিদুল ও তাঁর স্ত্রী আকলিমা ঘুম থেকে উঠে বাড়িতে স্বাভাবিক কাজ করছিলেন। দুপুর পর্যন্ত শাহিদাকে বাড়িতে দেখতে না পেয়ে ছোট ছেলে বিরল হোসেনের সন্দেহ হয়। মায়ের বিষয়ে হামিদুলকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি অসংলগ্ন কথা বলেন। পরে মায়ের ঘরের ভেতরে ঢুকে তাঁর লাশ দেখতে পান বিরল। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।

বিরল হোসেন বলেন, তাঁর মাকে রড দিয়ে পিটিয়ে, শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পরে লাশ ঝুলিয়ে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। নিহত শাহিদার মেয়ের স্বামী শামসুল আলম বলেন, তাঁর শাশুড়ির গলা ও পেটের নিচে আঘাতের চিহ্ন আছে। হামিদুল ও তাঁর স্ত্রী আকলিমা তাঁকে মেরে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছিলেন। ঘটনা প্রকাশের পর থেকে তাঁরা স্বামী-স্ত্রী পলাতক।

বাগমারা থানার ওসি মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হবে।