এসি নিয়ে কাড়াকাড়ি, মিলছে না সিরিয়াল দিয়েও
অনলাইন ডেস্ক: গরমে রীতিমতো ধুম পড়েছে এসির বাজারে। গরমকে বাগে আনতে সিরিয়াল দিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে বা নগদ টাকা দিয়েও মিলছে না পণ্যটি। যাদের সাধ্য নেই এসি কেনার, তারা ঝুঁকছেন রিচার্জেবল ফ্যানের দিকে। তাতেও রয়েছে দামের উত্তাপ। বাজেটে না মেলায় ঘুরে দেখছেন অনেকে।
রীতিমতো কাড়াকাড়ি চলছে এয়ার কন্ডিশন বা এসি নিয়ে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে পণ্যটি হাতে পেয়েছেন উত্তরা থেকে রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে আসা ব্যবসায়ী ফারুক।
তিনি বলেন, গরমের কারণে চাহিদা বেড়েছে এসির। এতে দোকানগুলো ভিড় বাড়ায় এসি কিনতে সিরিয়াল দিতে হচ্ছে।
এদিকে গরমকে বাগে আনতে সিরিয়াল দিয়ে ১২ ঘণ্টা পর পণ্যটি হাতে পেয়েছেন কেউ কেউ। আবার পাননি অনেকে। তারা জানান, দেড় টন এসির জন্য গুনতে হয়েছে ৪৬-৪৭ হাজার টাকা। যা ১৫ দিন আগেও ছিল ৩৯ হাজার টাকা।
ব্যবসায়ীরা জানান, বাজার চলছে এসির সংকট। এতে দাম বেড়েছে।
এসির বাজার যখন পুড়ছে দামের উত্তাপে তখন অনেকে ঝুঁকছেন রিচার্জেবল ফ্যানের দিকে। তাতেও নেই ঠান্ডার আভাস। ক্রেতারা বলছেন, রাত পেরিয়ে দিন হলেই দামের তারতম্য ঘটছে; যা দেখার কেউ নেই।
আর খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদা বাড়ায় ফ্যানের বাজার এখন চড়া তিন দিনের ব্যবধানে আবারও রিচার্জেবল ফ্যানের দাম বেড়েছে অন্তত ৫০০ টাকা।
আমদানিকারকদের গতানুগতিক অজুহাত, ডলারের অতিরিক্ত দাম আর পণ্য আসার পর বাড়তি ভ্যাটই এর জন্য দায়ী। তারা জানান, ঋণপত্র খুলতে ১১০ টাকার ডলার কিনতে গুনতে হচ্ছে ১২৮ টাকা। দিন শেষে যা শোধ করতে হচ্ছে ক্রেতাকে।
আমদানি থেকে ডিলার আর পাইকারি থেকে খুচরা পর্যায়ে অতিরিক্ত দাম আদায় করে বাজার পরিস্থিতি অস্থির যারা করছেন, তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি ক্রেতাদের।
সোনালী/ সা