ঢাকা | নভেম্বর ২৫, ২০২৪ - ১১:৩৯ অপরাহ্ন

খাপড়া ওয়ার্ডের শহিদদের আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না: বাদশা

  • আপডেট: Wednesday, April 24, 2024 - 7:00 pm

স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেছেন, খাপড়া ওয়ার্ডের শহিদদের আত্মত্যাগ কথনো বৃথা যাবে না। তাদের আদর্শ ও চেতনাকে ধারণ করে শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার লড়াইকে আরও বেগবান করতে হবে।

বুধবার সকাল সাড়ে নয়টায় খাপড়া ওয়ার্ড দিবস উপলক্ষে রাজশাহীর কেন্দ্রীয় কারাগারে নির্মিত শহিদ মিনারে খাপড়া ওয়ার্ডের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর দেয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে ওয়ার্কার্স পার্টির রাজশাহী জেলা ও মহানগরের উদ্যোগে খাপড়া ওয়ার্ডের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে শহিদদের স্মরণ করে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন ওয়ার্কার্স পার্টির নেতারা।

বক্তব্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, খাপড়া ওয়ার্ডের শহিদদের দেখানো পথ দেশের শোষিত, বঞ্চিত, মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামকে প্রাণিত করবে ও পথ দেখাবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টির রাজশাহী জেলা কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম পিয়ারুল, মহানগরের সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ প্রামাণিক দেবু, মহানগর সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য সাদরুল ইসলাম, জেলার সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল হক তোতা, মহানগর সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য অ্যাড. আবু সাহিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, সিরাজুর রহমান খান, আব্দুল মতিন, মনির উদ্দিন পান্না, নাজমুল করিম অপু, মনিরুজ্জামান মনির, মহানগর সদস্য, মহানগর যুবমৈত্রীর সভাপতি ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মহানগর সদস্য আব্দুর রহিম, আলী আফতাব তপন, রিয়াজ আহমেদ তুর্কি, সীতানাথ বণিক, আলমগীর হোসেন আলম, আব্দুল খালেক বকুল, জেলা কমিটির সদস্য কামরুল হাসান সুমন, সাবেক ছাত্রনেতা সেলিম মনোয়ার, যুবমৈত্রীর মহানগরের সাধারণ সম্পাদক শামীম ইমতিয়াজ, সহ-সভাপতি রায়হান হালিম,  ওয়ার্কার্স পার্টির বোয়ালিয়া পূর্ব সাধারণ সম্পাদক শাহীন শেখ, ছাত্রমৈত্রীর মহানগরের সাধারণ সম্পাদক বিজয় সরকার প্রমুখ।

ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৯৫০ সালের ২৪ এপ্রিল রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের খাপড়া ওয়ার্ডে জেলবন্দী কমিউনিস্ট নেতারা রাজবন্দীর মর্যাদা ও ভাল খাবারের দাবিতে অনশন করছিলেন। সে সময় খাপড়া ওয়ার্ড থেকে আটজন রাজবন্দীকে কনডেম সেলে স্থানান্তারিত করার সময় ডিভিশন না পাওয়ায় প্রতিবাদ করেন। ওই দিন জেলার বিলের নির্দেশে ৪০ জন রাজবন্দীর ওপর নির্বিচারে গুলিচালায় কারারক্ষীরা।

কারারক্ষীদের গুলিতে খাপড়া ওয়ার্ডে তেভাগা আন্দোলনের নেতা ঠাকুরগাঁওয়ের কম্পরাম সিং, ছাত্রনেতা আনোয়ার হোসেন, শ্রমিক নেতা বিজন সেন, মোহিনী মিলের সংগঠক সুধীন ধর, শ্রমিক হানিফ শেখ, কুষ্টিয়ার রেলশ্রমিক দিলওয়ার হোসেন ও ময়মনসিংহের ছাত্র সংগঠক সুখেন ভট্টাচার্য শহীদ হন। এছাড়াও অন্যরা মারাত্মকভাবে আহত হন।

এদিকে খাপড়া ওয়ার্ড দিবস উপলক্ষে আজ সকাল ১০টায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগেও শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। এসময় কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, কেন্দ্রীয় সদস্য রাগিব আহসান মুন্নাসহ বিভিন্ন জেলার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সোনালী/জগদীশ রবিদাস