রাজশাহীতে তীব্র গরমে বাড়ছে ডায়রিয়ার প্রকোপ
স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীতে চলছে প্রচণ্ড দাবদাহ। কয়েকদিন ধরে এ অঞ্চলের তাপমাত্রা ওঠানামা করেছে ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তাপপ্রবাহের ফলে রোদ-গরমে বাড়ছে জ্বর, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। হাসপাতালে বেড়েছে রোগী চাপ।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, রাজশাহীতে ১৩ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে তাপপ্রবাহ। ১৩ তারিখ দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৪ তারিখ দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৫ তারিখে রেকর্ড করা হয় ৩৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৬ তারিখ তাপমাত্রার পারদ উঠে ৩৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, ১৭ তারিখ তারিখ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৮ তারিখে দিনের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার দিনের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তথ্যমতে, গরমে অসুস্থ হয়ে ১২ তারিখ হাসপাতালে ভর্তি হয় ৯০ জন, ১৩ তারিখ ভর্তি হয় ১১১ জন, ১৪ তারিখ ভর্তি হয় ৯০জন, ১৫ তারিখ ভর্তি হয় ১১৫ জন, ১৬ তারিখ ভর্তি হয় ১১৬ জন সর্বশেষ গতকাল ভর্তি হয় ১৪৭ জন রোগী।
রামেক হাসপাতাল দেখা যায়, গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের সংখ্যা বেশি। হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডগুলোতে রোগীর চাপ সবচেয়ে বেশি। যার ফলে বারান্দায়ও চিকিৎসা নিতে হচ্ছে অনেককে। একই চিত্র হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে।
হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ছেলেকে নিয়ে এসেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহিমা বেগম। তিনি বলেন, কয়েকদিন থেকে ছেলেটার পায়খানা। কিছু খেলেই বমি করে দিচ্ছে। এজন্য এখানে ভর্তি করা হয়েছে। কয়েকদিন ধরে এখানে চিকিৎসা নিচ্ছি।
রাজশাহী চারঘাট এলাকা থেকে ৬ মাসের শিশুকে নিয়ে নিয়ে এসেছেন মাসুদ রানা। তিনি বলেন, গরমের কারণে শিশুটি অসুস্থ হয়েছে বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। এরপর এখানে দুই একদিন থাকতে বলেছেন। তার চিকিৎসা চলছে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. শাহিদা ইয়াসমিন বলেন, আমাদের এখানে বেশিরভাগ রোগী ডায়রিয়ার। এছাড়াও সাধারণ সর্দি-কাশি বেড়েছে। পাশাপাশি নিউমোনিয়া আসছে।
সোনালী/ সা