পণ্ডিত সারদা কিংকর মজুমদারকে নিয়ে স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন
স্টাফ রিপোর্টার: পণ্ডিত সারদা কিংকর মজুমদারের নাম আজ নতুন প্রজন্মের মধ্যে বহুলাংশে বিস্মৃত। নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক ও প্রতিভাবান তবলাবাদক হিসেবে জীবদ্দশায় তিনি ছিলেন বিরল সম্মানের অধিকারী।
গ্রহণের চেয়ে বিতরণের নীতি ছিল তার আমৃত্যু অবলম্বন, সন্তানসম শিক্ষার্থীদের বিদ্যা, শৃঙ্খলা ও নিষ্ঠার মন্ত্রে দীক্ষিত করেছিলেন, এই ভোগবাদের যুগে তা অবিশ্বাস্য মনে হয়।
তার গৌরাবান্বিত জনকল্যাণমুখী জীবনচর্চার সঙ্গে বাংলা ও বাঙালির তরুণ প্রজন্মকে পরিচিত করার উদ্দেশে রাজশাহীতে পণ্ডিত সারদা কিংকর মজুমদার স্মারকগ্রন্থ ‘মহিরুহের ছত্রছায়ায়’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।
শনিবার বেলা ১২টায় রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের আইটি ল্যাবে আয়োজিত অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়। অস্ট্রেলিয়া থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন পণ্ডিত সারদা কিংকর মজুমদারের ছেলে সূর্য কিংকর মজুমদার। তিনিই গ্রন্থটির সম্পাদনা করেছেন।
স্মারকগ্রন্থে পণ্ডিত সারদা কিংকর মজুমদারের জীবন-কর্ম ও শিক্ষকতায় তার পাণ্ডিত্যসহ নানা অজানা বিষয় উঠে এসেছে। গ্রন্থটিতে দেশ-বিদেশের বহু খ্যাতিমান মানুষ ছাড়াও প্রয়াত সারদা কিংকর মজুমদারের নিজ শিক্ষার্থীদের লেখাই সবচেয়ে বেশি স্থান পেয়েছে। গ্রন্থে সারদা কিংকর মজুমদারের শিক্ষার্থীরা তাদের প্রিয় শিক্ষকের মহান ব্যক্তিত্ব, বিদ্যাদানে মহানুভবতা ও ছাত্রদের প্রতি তার দৃষ্টিভঙ্গির বিভিন্ন স্মৃতির গল্প তুলে ধরেছেন। গ্রন্থটি প্রকাশ করেছে ‘যুক্ত’।
মোড়ক উন্মোচনের অনুষ্ঠানে পণ্ডিত সারদা কিংকর মজুমদারের তৎকালীন শিক্ষার্থীরা স্মৃতিচারণ করে বিভিন্ন বক্তব্য রাখেন। তাদের মধ্যে ছিলেন রাজশাহী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও পণ্ডিত সারদা কিংকর মজুমদারের ছাত্র ফজলে হোসেন বাদশা, আলী আজম নিপু, একেএম ওয়াহিদ উদ্দীন, দ্বিজেন্দ্রনাথ ব্যানার্জি, কল্যানময় দাশ, পণ্ডিত অমরেশ রায় চৌধুরী, তসিকুল ইসলাম রেজা, আচ্যিন্ত কুমার সরকার, ফাতেমা নুসরাত জাহান বাবলি, সৈয়দ উল আলম কাজল, জুবায়ের হোসেন, অনলাইনে বক্তব্য দেন, লন্ডন প্রবাসী সুফিয়া আসমা আলী, আমেরিকা প্রবাসী ড. প্রফেসর দাউদ আফজাল প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পণ্ডিত সারদা কিংকর মজুমদারের ছাত্র জেডআই ফারুক। অনুষ্ঠানে রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক নূর জাহান বেগমসহ অন্যান্য অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
সোনালী/জগদীশ রবিদাস