শেষ হল বস্ত্র ও কুটির শিল্পমেলা
স্টাফ রিপোর্টার: জমকালো আয়োজনে শেষ হলো রাজশাহী নগরীর গ্রিন প্লাজায় অনুষ্ঠিত বস্ত্র ও কুটির শিল্প মেলা ২০২৩।
মাসব্যাপী চলা এই বস্ত্র ও কুটির শিল্প মেলা দুদিন আগেই ইতিটানা হলো। আগামী ১৮ ডিসেম্বর এ মেলার সমাপনী অনুষ্ঠান হওয়ার কথা থাকলেও জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুদিন আগেই গত শনিবার সমাপনী ঘোষণা করা হয়েছে।
মেলার সমাপনী উপলক্ষে শনিবার সন্ধ্যায় নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মেলার সমাপনীর সাথে স্টলদাতা সেরা উদ্যোক্তাদের মাঝে প্রথম থেকে তৃতীয় পর্যন্ত পুরস্কার ও সনদ প্রদান করা হয়।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ূন কবীর। বিশেষ অতিথি ছিলেন রেশম শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি লিয়াকত আলী, আল-আকসা ডেভেলপার্স প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান কাজি, দৈনিক আমাদের রাজশাহী পত্রিকার সম্পাদক আফজাল হোসেন ও রাজশাহী ইউমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি রোজিটি নাজনিন। মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউমেন এন্টারপ্রিনিয়র্স অ্যাসোসিয়শন অব বাংলাদেশ (ওয়েব)-এর সভাপতি আঞ্জুমান আরা লিপি।
এবার বস্ত্র ও কুটির শিল্প মেলা শুরু থেকে ক্রেতা সমাগম ছিল চোখে পড়ার মত। গুণগত মানের পণ্য থাকায় মেলায় যেসব উদ্যোক্তারা স্টল দিয়েছিলেন তাদের ব্যবসাও ভাল হয়েছে। প্রথম দিকে উদ্যোক্তারা অনেকটা হতাশা নিয়ে মেলায় স্টল সাজান। কিন্তু দিন গড়ানোর সাথে সাথে রমরমা হয়ে উঠে বস্ত্র ও কুটির শিল্প মেলা। উদ্যোক্তাদের পণ্য ক্রেতাদের মন কাড়তে শুরু করে। এতে উদ্যোক্তাদের মাঝে যে শঙ্কা ছিল তা দ্রুত কেটে যায়।
এবার মেলায় প্রতিজন উদ্যোক্তাই ভাল ব্যবসা করেছেন। পণ্যের গুণগত মান ভাল হওয়া ও দাম সাশ্রয়ী থাকায় ক্রেতারাও স্বাচ্ছন্দে পণ্য কিনতে পেরেছেন। বিশেষ করে এবার মেলা বিভিন্ন ধরনের স্টল দিয়ে সাজানো হয়েছিল। যার কারণে শুরু থেকেই ক্রেতা সমাগম ছিল চোখে পড়ার মত।
রাজশাহীর অন্যতম উদ্যোক্তা শারমিন সুলতানা। তিনি এবার মেলায় কুঞ্জবুটিকা-এর স্টল দিয়েছিলেন। তিনি উদ্যোক্তা হিসাবে মেলায় প্রথম পুরস্কারও পেয়েছেন। পণ্যের গুণগত মানসহ বেশ কিছু কারণে তিনি মেলায় ৫২টি স্টলের মধ্যে প্রথমস্থান অর্জন ও পুরস্কার পান। সমাপনী অনুষ্ঠানে কথা হয় এই নারী উদ্যোক্তা শারমিন সুলতানার সাথে।
তিনি বলেন, উদ্বোধনের ৫ দিন পর আমি মেলায় স্টল সাজিয়েছিলেন। দেশে হরতাল অবরোধের মধ্যে মেলা কেমন হবে এ নিয়ে চিন্তায় ছিলাম। প্রথম দিকে ক্রেতা সমাগমও ছিল না। সব মিলিয়ে স্টল সাজানোর দুই থেকে তিনদিন পরই ক্রেতা সমাগম বাড়ায় আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেন তিনি। দিন গড়ানোর সাথে সাথে মেলায় লোকসমাগমও বাড়ে এবং বেচাবিক্রি ভাল হতে থাকে। যতটা নিরাশ হয়ে স্টল শুরু করেছিলাম, কয়েক দিনের ব্যবধানে সেই হতাশা অনেকটাই কেটে যায়।
তিনি বলেন, এবার বস্ত্র ও কুটির শিল্প মেলায় আশানুরূপভাবে বিক্রি হয়েছে। যা আগে কখনো হয়নি। অসময়ে মেলা হলেও মোটামুটি বিক্রি করতে পেরেছি। ভাল লাভও হয়েছে। মেলায় যেটা আশা করেছিলাম তার চেয়ে ভাল রেজাল্ট পেয়েছি বলেও তিনি মন্তব্য করেন। একই কথা জানান মেলায় স্টল দেয়া অন্যান্য উদ্যোক্তারাও।
এবার মেলায় রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ৫২টি স্টল বসানো হয়েছিল। এসব স্টলে ছিল নানান ধরনের পণ্য।
সোনালী/জগদীশ