মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক সমাজ গড়তে পারলেই বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ সার্থক হবে
আলোচনা সভায় ফজলে হোসেন বাদশা
স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি বলেছেন, বুদ্ধিজীবীরা জাতির অগ্রগতির অন্যতম রূপকার। তাদের সৃজনশীল কর্মকাণ্ড, উদার ও গণতান্ত্রিক চিন্তাচেতনা জাতীয় অগ্রগতির সহায়ক। বুদ্ধিজীবীদের রেখে যাওয়া আদর্শ ও পথকে অনুসরণ করে অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক সমাজ গড়তে পারলেই তাদের মহান আত্মত্যাগ সার্থক হবে।
বৃহস্পতিবার সকালে বুদ্ধিজীবী দিবস স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নগরীর বরেন্দ্র ও শাহ মখদুম কলেজের উদ্যোগে স্ব-স্ব কনফারেন্স রুমে পৃথকভাবে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করে এমপি বাদশা তার বক্তব্যে বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালে পুরো সময় জুড়েই পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর নির্মম হত্যাযজ্ঞের শিকার হয়েছিলেন বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীরা। দেশকে মেধাশূন্য করতে পরিকল্পিত ভাবে তালিকা করে চালানো হয়েছিল এই হত্যাযজ্ঞ। মুক্তিযুদ্ধে যোগদান, মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা এবং স্বাধীন সার্বভৌম দেশের কথা বলতে গিয়ে প্রাণ দিতে হয়েছিল এসব সূর্যসন্তানদের। ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম এই কেন্দ্রীয় নেতা দল মত নির্বিশেষে একাত্তরের ঘাতক, মানবতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী জামায়াতচক্রের সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
শাহমখুদম কলেজের আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন শাহ মখুদম কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি প্রফেসর নুরুল আলম। আরও বক্তব্য রাখেন কলেজের অধ্যক্ষ এসএম রেজাউল ইসলাম, বরেন্দ্র কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ আলমগীর মালেক, শাহ মখুদম কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ আমিনুর রহমান, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী মঞ্জুর মোরশেদ হাসান চুন্নাসহ কলেজের অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ।
বরেন্দ্র কলেজের আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি প্রফেসর দীপন্দ্রেনাথ সরকার। আরও বক্তব্য রাখেন রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর নুরুল আলম, বরেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ জান মোহাম্মদ, অধ্যাপক তসলিমা খাতুন, সিনিয়র শিক্ষক হাবিবুর রহমান, ইতফাত আরা রাকা, রাজনীতিক দেবাশিষ প্রামানিক দেবু, শিক্ষানুরাগী মঞ্জুর মোরশেদ হাসান চুন্নাসহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ।
সোনালী/জগদীশ