সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে নগর আ’লীগের অবস্থান কর্মসূচি
স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপি-জামায়াতের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
শনিবার বেলা ২ টায় কুমারপাড়াস্থ দলীয় কার্যালয়ে এ কর্মসূচি পালন করে তারা। এরপর বিকাল ৪টায় দলীয় কার্যালয় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সাহেব বাজার জিরোপয়েন্টে এসে শান্তি ও উন্নয়নের সমাবেশের আয়োজন করে ।
সমাবেশে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামালের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহ্সানুল হক পিন্টুর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আসলাম সরকার, দপ্তর সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম বুলবুল, শ্রম সম্পাদক আব্দুস সোহেল, সদস্য হাবিবুর রহমান বাবু, বোয়ালিয়া (পূর্ব) থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার ঘোষ, বোয়ালিয়া (পশ্চিম) থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান রতন, মতিহার থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন, শাহ্মখদুম থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শাহাদত আলী শাহু, নগর শ্রমিক লীগ সাধারণ সম্পাদক আকতার আলী, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আব্দুল মোমিন, নগর যুবলীগের সাবেক সভাপতি রমজান আলী, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নাহিদ আক্তার নাহান, নগর মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. শামীমা ইয়াসমিন শিখা, নগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রকি কুমার ঘোষ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান রাজিব, সাধারণ সম্পাদক ডা. সিরাজুম মুবিন সবুজ, ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি সেলিম রেজা।
সভায় বক্তারা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর নেতৃত্বে দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে দিয়ে স্বাধীন হয়েছে আমাদের এই প্রিয় মাতৃভূমি। কিন্তু আমরা বরাবরই লক্ষ্য করে আসছি যে, নির্বাচন সামনে এলেই বিএনপি-জামায়াতের এই অপকর্ম শুরু হয়ে যায়। তারা সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে দিশেহারা হয়ে পড়ে, জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চায়। বিএনপি-জামায়াত রাজপথের রাজনীতিতে ব্যর্থ হয়ে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডের লিপ্ত হয়েছে। তারা ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের এজেন্ট হয়ে বাংলাদেশের মানুষকে হত্যা করেছে।
দেশের ক্ষতিসাধন করেছে। তারাই আবার ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে ও ৩ নভেম্বর কারাভ্যন্তরে জাতীয় চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। তারা এদেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারে না, এদেশের উন্নয়নকে মেনে নিতে পারে না। বক্তারা আরও বলেন, আন্দোলনের নামে তারা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে, মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করে। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপির আমলে জঙ্গিবাদের উত্থান হয়, গ্রেনেড হামলাসহ অসংখ্য ঘটনা ঘটেছে। বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা মিলে এদেশের মানুষদের খুন, নির্যাতন, অত্যাচার করেছে। বিএনপির দুঃশাসন ভুলে গেলে চলবে না। নির্বাচন আসলেই তারা দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র, সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ড শুরু করে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত নেতাকর্মীদের তৃণমূল থেকে মহানগর পর্যন্ত নিজ নিজ অবস্থানে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। দেশব্যাপী বিএনপি-জামায়াত যে অপরাজনীতি করছে তা প্রতিহত করতে সকলকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।
বিএনপি-জামায়াতের নেতাদের উদ্দেশে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ সরকারের সংবিধান অনুযায়ী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আপনারা যতই ষড়যন্ত্র করুন না কেন, তাতে কোন লাভ হবে না। আমরা সংবিধান অনুযায়ি নির্বাচনে অংশগ্রহন করবো, নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবারো প্রধানমন্ত্রী করে দেশের চলমান গণতন্ত্র ও উন্নয়ন অব্যাহত রাখার অঙ্গিকার ব্যক্ত করছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মীর তৌফিক আলী ভাদু, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ কবির সেন্টু, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শ্যাম দত্ত, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ওমর শরীফ রাজিব, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক কামারউল্লাহ সরকার কামাল, কোষাধ্যক্ষ হাবিবুল্লাহ ডলার, সদস্য মুশফিকুর রহমান হাসনাত, নজরুল ইসলাম তোতা, শাহাব উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আব্দুল মান্নান, আতিকুর রহমান কালু, হাফিজুর রহমান বাবু, আখতারুল আলম, আব্দুস সালাম, বাদশা শেখ, ইউনুস আলী, মোখলেশুর রহমান কচি, অ্যাড. রাশেদ-উন-নবী আহসান, নগর শ্রমিক লীগ সভাপতি মাহাবুবুল আলম, নগর কৃষক লীগ সভাপতি রহমতউল্লাহ সেলিম, নগর যুব মহিলা লীগ সাধারণ সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন নিলু, নগর ছাত্রলীগ সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম, নগর তাঁতী লীগ সাধারণ সম্পাদক মোকসেদ-উল-আলম সুমন প্রমুখ।
সোনালী/জেআর