সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রের মালিকানা জনগণের: বাদশা
স্টাফ রিপোর্টার: শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেছেন, আমাদের সংবিধানে শুধু ধর্মনিরপেক্ষতাই নয়, সমতাভিত্তিক সমাজের কথাও বলা আছে। যেখানে সমাজে প্রত্যেকের অধিকার সমান থাকবে। মনে রাখতে হবে; বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের মালিকানা সাধারণ জনগণের। বিভিন্ন কারণে হয়তো এসব বাস্তবায়িত হয়নি! তবে আমাদের আগামীর তরুণ প্রজন্ম যদি এসব নিয়ে চিন্তা করে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করে তবে অবশ্যই আমাদের লালিত স্বপ্ন একদিন বাস্তবায়িত হবে।
শনিবার রাজশাহী শহরের একটি রেস্তোরাঁয় আয়োজিত সামাজিক সম্প্রীতি সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বেসরকারি সংস্থা দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের উদ্যোগে ও ফ্রিডম অফ রিলিজিওন বিলিভ লিডারশিপ নেটওয়ার্কের সহযোগিতায় এই সংলাপের আয়োজন করা হয়। এতে বিভিন্ন স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন স্তরের তরুণ প্রজন্ম অংশগ্রহণ করেন।
সংলাপে বর্তমান অর্থনৈতিক ব্যবস্থার কিছুটা সমালোচনা করে এমপি বাদশা বলেন, সংবিধানে সমতার কথা থাকবে; কিন্তু বাস্তবে মানুষে-মানুষের অর্থনৈতিক বৈষম্য প্রকট হবে- এটি হতে পারে না। একটি শ্রেণি ধনী থেকে অতি ধ্বনিতে পরিণত হচ্ছে; বিপরীতে আরেকটি শ্রেণি দরিদ্র থেকে অতি দরিদ্রে ধাবিত হচ্ছে। এই অর্থনৈতিক ব্যবস্থা কখনোই কোন স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য কল্যাণকর নয়। আমরা ধর্মনিরপেক্ষ সমতাভিত্তিক ও সামাজিক সম্প্রীতির একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্যই মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলাম
তরুণদের উদ্দেশে ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, আমার আনন্দ হয়- আমাদের তরুণ প্রজন্ম এখন এসব নিয়ে এখন কথা বলা শুরু করেছে। কিন্তু আমি মনে করি, এই কথা বলার প্রবণতাকে আরো অনেকাংশে বৃদ্ধি করতে হবে। কারণ, আগামীর তরুণরায় আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ। তাদের হাতেই বাংলাদেশ। সুতরাং আমরা এমন কারো হাতে বাংলাদেশ রেখে যেতে পারি না; যারা সমতাভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা সম্পর্কে আদর্শিক জ্ঞান আয়ত্ত করে না। আমাদের তরুণরা যদি এই অঙ্গীকারের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ হতে পারেন; তবে অবশ্যই আমাদের অর্থনৈতিক বৈষম্যে নিরসনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের চেহারা পাল্টে যাবে।
সম্প্রীতি সংলাপে সভাপতিত্ব করেন সুজন রাজশাহী মহানগরের সভাপতি পিয়ার বক্স। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ফ্রিডম অফ রিলিজিওন বিলিভ লিডারশিপ নেটওয়ার্কের কান্ট্রি ডিরেক্টর শাহনাজ করিম, দি ভাঙ্গার প্রজেক্টের সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার শশাঙ্ক রায়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডাক্তার হেমায়েতুল ইসলাম আরিফ, বরেন্দ্র কলেজের অধ্যাপক আশরাফুল হক তোতা, তানোর মহিলা কলেজের অধ্যাপক মাহমুদুল আলম মাসুদ প্রমুখ।
সোনালী/জগদীশ রবিদাস