ঢাকা | নভেম্বর ২৭, ২০২৪ - ৭:৫৬ অপরাহ্ন

নিয়ামতপুরে কাঁচা সড়কে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ 

  • আপডেট: Monday, October 9, 2023 - 7:15 pm

নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি: মাত্র দুই কিলোমিটার কাঁচা সড়কের (সিরাজপুর-আক্কেলপুর) কারণে উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের সিরাজপুর ও আক্কেলপুর এলাকার শিক্ষার্থী ও এ এলাকার জনসাধারণের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে।

একটু বৃষ্টি হলেই এ এলাকার শিক্ষার্থীদের কাঁচা সড়কের কাদা মাড়িয়ে কষ্ট করে স্কুল মাদ্রাসা কলেজে যেতে হয়। কাঁচা সড়কের কারনে এ এলাকার উৎপাদিত ফসল পার্শ্ববতী সোনাইচর্ন্ডী ও রহনপুর হাটেও নিতে খুব কষ্ট হয় কৃষকের।

শুধু তাই নয় আক্কেলপুরের মানুষকে বর্ষা মৌওসুমে অনেকটা পথ ঘুরে উপজেলা সদরে প্রয়োজনীয় কাজে যেতে হয়। এতে সাধারণ মানুষের যাতায়াত ভাড়াসহ ভোগান্তি বেড়ে যায় অনেকগুনে আর সময়ও নষ্ট হয় অনেক।

অথচ সংশ্লিষ্টদের নিকট দীর্ঘদিন থেকে এ সংযোগ সড়কটি পাকা করনের দাবী জানিয়ে আসছে এলাকাবাসী।

জানা যায়, এ এলাকার জনবসতি প্রায় চার হাজার। মানুষের চলাচলের কথা ভেবেই প্রায় ১০ বছর আগে সিরাজপুর-আক্কেলপুর সড়কটির ৩ কিলোমিটার সংযোগ সড়কের ১ কিলোমিটার পাকা করা হয়।

পর্যায়ক্রমে ২ কিলোমিটার পাকা হওয়ার কথা থাকলেও আজও তা বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে এ এলাকার সাধারণ মানুষসহ শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি বেড়েই চলেছে।

অথচ সড়কটির উভয় প্রান্তে রয়েছে প্রত্যহিক বাজারসহ সোনাইচন্ডী উচ্চ বিদ্যালয়, বালিকা বিদ্যালয়, কলেজসহ কয়েকটি প্রাইভেট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এছাড়াও রয়েছে বিশ কিছু এনজিও। রয়েছে মৎস চাষের ছোটবড় অনেক পুকুর।

শুধু যোগাযোগ ব্যস্থার করনেই অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়ছে এ এলাকার মানুষ। আরো জানা যায়, এ এলাকার বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই প্রাথমিকের গন্ডি পেরিয়ে পার্শ্ববর্তী সোনাইচন্ডী উচ্চ বিদ্যালয়, বালিকা বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও কলেজে লেখাপড়া করে থাকে। তারা বর্ষা ও খরা মৌওসুমে বাড়ী যাওয়া-আসার পথে এ সড়কে নানান বিড়ম্বনার শিকার হন প্রতিনিয়ত।

সিরাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রৌওশন আরা ও সোনাইচন্ডী উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিম জানান, ওই দুই কিলোমিটার কাঁচা সড়কের কাররেন তাদের প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ররত শিক্ষার্থী বর্ষা মৌওসুমে চরম বেকায়দায় পড়ে যায়। স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয় তাদের।

সিরাজপুর গ্রমের কৃষক সফিকুল জানান, তাদের উৎপাাদিত ফসল ধান, গম, ডাল তারা সোনাইচন্ডী ও রহনপুরের হাটে তুলে থাকেন। কিন্তু ওইটুকু কাঁচা সড়কে বৃষ্টি হলে কাদার মধ্য দিয়ে ফসল নিয়ে যেতে সীমাহীন কষ্ট হয় তাদের।

মাঝে মধ্যে কষ্টের কথা ভেবে গ্রামেই ফড়িয়াদের নিকট কম দরে বিক্রি করে দেন কষ্টার্জিত ফসল। সংশ্লিষ্ট রসুলপুর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মোত্তালিব হোসেন বাবর জানান, ওই এলাকার জনসাধারণের জন্য সড়কটি পাকা হওয়া এখন সময়ের দাবী।

সোনালী/জেআর