বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ
অনলাইন ডেস্ক: পুত্রের ব্যবসায়িক দেনদরবারে প্রেসিডেন্ট বাইডেন প্রভাব বিস্তার করেছেন অথবা ওই ব্যবসায় নিজেও লাভবান হয়েছেন কি না- তা খতিয়ে দেখার জন্য তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকান স্পিকার কংগ্রেসম্যান (ক্যালিফোর্নিয়া) কেভিন ম্যাককার্থি।
গত মঙ্গলবার ক্যাপিটল হিলে সাংবাদিকদের কাছে এ তথ্য উপস্থাপনের সময় স্পিকার আরও উল্লেখ করেন, ‘ক্ষমতার অপব্যবহার, তদন্তে বাধা এবং দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে বাইডেনের বিরুদ্ধে। এ জন্যই বিস্তারিত তদন্তের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে এবং তা করছে প্রতিনিধি পরিষদ।
এ জন্যেই আমি প্রতিনিধি পরিষদের কমিটিকে নির্দেশ দিয়েছি- প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে অভিশংসনের জন্যে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করতে। তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহে যদ্দুর যাওয়া দরকার- আমরা তা করতে পিছপা হবো না।’ ইউক্রেন এবং অন্যান্য স্থানে বাইডেনের পুত্র ব্যবসা-বাণিজ্যে হোয়াইট হাউসকে ব্যবহার করেছে কিংবা ছেলের ব্যবসায়িক লেনদেন থেকে বাইডেন উপকৃত হয়েছেন বলে রিপাবলিকানদের কাছে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই।
তবুও সাম্প্রতিক সময়ে চরম দক্ষিণপন্থি কিছু রিপাবলিকান স্পিকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করছিলেন বাইডেনকে অভিশংসনের প্রক্রিয়া অবলম্বনের জন্যে। এ ছাড়া, রিপাবলিকানরা আরও অভিযোগ করছিলেন, বিচার বিভাগ হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্তে বাধা দিচ্ছে। মূলত এমন চাপের উদ্ভব হয় সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলার ঘটনায়।
প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে উঠেছেন ট্রাম্প নিজেও। স্পিকার ম্যাককার্থি বাইডেনকে ‘তার পরিবারের বিদেশি ব্যবসায়িক লেনদেনের ব্যাপারে ধারণা থাকা সত্ত্বেও আমেরিকানদের কাছে মিথ্যা’ বলার জন্য অভিযুক্ত করে আসছেন। বিশেষভাবে বলেছেন যে, বারাক ওবামার আমলে ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন বাইডেন এবং সে সময় হান্টার ব্যবসা-বাণিজ্যে বাবার প্রভাব খাটিয়েছেন। আর এ বিষয়টিই জো বাইডেনকে অভিশংসনের জন্যে যথেষ্ট বলে মনে করছেন কট্টর ডানপন্থি রিপাবলিকানরা।
স্পিকার ম্যাককার্থি সাংবাদিকদের জানান যে, প্রতিনিধি পরিষদে ওভারসাইট কমিটির চেয়ারম্যান জেমস কমের (রিপাবলিকান-ক্যান্টাকি) নেতৃত্বে অভিশংসনের তদন্ত শুরু হচ্ছে এবং তদন্তে সমন্বয় করবেন বিচার বিভাগীয় কমিটির চেয়ার (রিপাবলিকান-ওহাইওয়ো) জিম জর্দন। ওয়েজ অ্যান্ড মিন্স কমিটির চেয়ার জ্যাসন টি স্মিথ (রিপাবলিকান-মন্টানা) সর্বাত্মক সহায়তা দেবেন এই তদন্তে।
এ ব্যাপারে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র আইয়ান স্যামস তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন যে, ম্যাককার্থির এই পদক্ষেপ রাজনীতির ইতিহাসে নিকৃষ্টতম একটি উদাহরণ তৈরি করবে। কারণ, প্রেসিডেন্ট কখনোই কোনো অন্যায় বা ভুল করেননি। গত ৯ মাস ধরে প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকানদের তদন্তেও সে সত্যেরই প্রকাশ ঘটেছে।
সোনালী/জেআর