রাজশাহীতে দিনভর গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি
ভোগান্তিতে জনজীবন
স্টাফ রিপোর্টার: মৌসুমী বায়ুর সক্রিয়তায় আষাঢ় শেষে ভাদ্রে এসে বৃষ্টি ঝরছে পদ্মাপাড়ের রাজশাহীতে। শুক্রবার শহরের বিভিন্ন এলাকায় সকাল থেকেই শুরু হয় গুড়ি-গুড়ি বৃষ্টি। দুপুরের আগে খানিক কমে ফের শুরু হয়ে এই গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি একটানা চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৫০ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার। এটিই এই মৌসুমে ২৪ ঘন্টার সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত বলেও জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নগরীর সাহেব বাজার, শহিদ কামারুজ্জামান চত্বর, আলুপট্টি, আম চত্বর, নওদাপাড়া, সিঅ্যান্ডবি, লক্ষীপুর মোড়, কোর্ট স্টেশন, বিনোদপুর, তালাইমারিসহ বেশ কিছু এলাকায় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি দেখা যায়।
সন্ধ্যা ৬টায় এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত শহরের অনেক জায়গায় গুড়িগুড়ি বৃষ্টি অব্যাহত ছিল। আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চলমান এই গুড়ি-গুড়ি বৃষ্টি থেমে থেমে হলেও আগামী দু’একদিন অব্যাহত থাকতে পারে।
এদিকে, দিনভর বৃষ্টির কারণে শহুরে জীবনে স্বস্তি ফিরলেও চরম ভোগান্তিতে পড়েন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। শুক্রবার সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় অফিসগামী ও শিক্ষার্থীরা তেমন ভোগান্তিতে না পড়লেও চরমভাবে ব্যহত হতে দেখা যায়- দিন এনে দিন খাওয়া খেটে খাওয়া মানুষের কর্মজীবন।
এসময় কিছু মানুষ ছাতা মাথায় ছুটলেও সিংহভাগই নিজেদের কর্মস্থলে পৌঁছাতে পারেননি। এতে দিনজুড়ে অনেকটাই জনমানব শূন্য ও ফাঁকা দেখা যায় সবুজ নগরী।
রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাজিব খান বলেন, মৌসুমী বায়ু সক্রিয় হওয়ার কারণে রাজশাহীতে গুড়ি-গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। একটু থেমে-থেমে হলেও আগামী দু’একদিন এমন আবহাওয়া অব্যাহত থাকতে পারে।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘন্টায় ৫০ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে; যা এই মৌসুমের সর্বোচ্চ। গতকাল শুক্রবার রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৬ দশমিক ০৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
অপরদিকে আজ শনিবারও দেশের আট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। তবে দুদিন পর বৃষ্টির প্রবণতা কমে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
মৌসুমি বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিম বঙ্গ ও বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সোনালী/জেআর