দুর্গাপুরে দুই সপ্তাহে শিশুসহ ৮ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত
দুর্গাপুর প্রতিনিধি: দুর্গাপুরে হঠাৎ ডেঙ্গু জ্বরের আতষ্কে পড়েছে মানুষ। ডেঙ্গুর লক্ষণ জ্বর ও তীব্র মাথা ব্যথায় হাসপাতালের বর্হিবিভাগে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।
গত দুই সপ্তাহে উপজেলায় একজন শিক্ষক ও শিশুসহ ৮ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্তদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ অবস্থায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে নজরদারি জোরদার করেছে উপজেলা প্রশাসন।
সোমবার দুপুরে ডেঙ্গু প্রতিরোধে উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) কৃঞ্চ চন্দ্র। তবে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে কাউকে জরিমানা করা না হলেও হাটবাজারের বিভিন্ন নালা, ডোবা ও অপরিস্কার জায়গা পরিস্কার রাখতে কঠোর নিদের্শনা দেন ভ্রাম্যমান আদালত।
দুর্গাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, গত দুই সপ্তাহে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জ্বর ও মাথা ব্যথা ও বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে ৯০জন ব্যক্তি ডেঙ্গুর পরীক্ষা করেছেন। এতে ৮জন রোগীর ডেঙ্গু পজিটিভ এসেছে।
তাদের মধ্যে দুজনকে হাসপাতালে ও অন্যদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও প্রতিদিনই হাসপাতালের বর্হি বিভাগে অসংখ্য ডেঙ্গু আতষ্কে রোগীর ভিড় বাড়ছে।
আজ সকালে সরেজিমনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে, হাসপাতালের বর্হি বিভাগে রোগীদের উপচে পড়া ভিড়। এসময় কথা হয় পৌর এলাকার খোড়খাই গ্রামের রপালী বেগমের সঙ্গে।
রুপালী বলেন, গত তিন দিনধরে শরীরে প্রচন্ড জ্বর ও সঙ্গে বমি হচ্ছে। তাই ডক্টর দেখাতে এসেছি। ডক্টররা আমার লক্ষণ শুনে ডেঙ্গু পরীক্ষা করতে দিয়েছেন। ডেঙ্গু রিপোর্ট পজিটিভ হয় কিনা এ নিয়ে খুবই আতষ্কের মধ্যে আছি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ মেহেদী হাসান সোহাগ বলেন, ডেঙ্গুতে আক্রান্তদের মধ্যে দুইজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
অন্য রোগীদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিদিন হাসপাতালের বর্হি বিভাগে জ্বর মাথা ব্যথাসহ ডেঙ্গুর লক্ষণ নিয়ে রোগীর চাপ বাড়ছে।
এদিকে পৌরসভার মশক নিধনের ধীরগতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। এ বিষয়ে দুর্গাপুর পৌরসভার প্রকৌশলী সাহাবুল ইসলাম বলেন, মশক নিধনে তাদের স্প্রে কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে।
তিন থেকে চার দিন পরপর বিভিন্ন ওয়ার্ডে মশক নিধনে স্প্রে করা হচ্ছে। তবে ডেঙ্গুতে আক্রান্তরা দুর্গাপুরে থাকেন না বলে তিনি দাবি করেন। সাহাবুল বলেন, আক্রান্তদের সবাই ঢাকা থেকে এসেছেন।
জানতে চাইলে দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল রানা বলেন, মশক নিধন ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে উপজেলার ৭ ইউনিয়নে সভা সমাবেশ করা হয়েছে।
একই সঙ্গে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বাড়ীর আঙ্গিনা এবং স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠান এলাকায় ময়লা-আর্বজনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ডেঙ্গু প্রতিরোধে মানুষকে সচেতন করতে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
সোনালী/জেআর