প্রতীক পেলেন হিরো আলম, ঈদের পরে দেখাবেন চমক
অনলাইন ডেস্ক: ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে ‘একতারা প্রতীক’ পেয়েছেন বহুল আলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম (হিরো আলম)।
সোমবার (২৬ জুন) নির্বাচন কর্মকর্তা ও ঢাকার জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান তাকে এ প্রতীক দেন।
ঈদের পর চমক থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘হিরো আলম তো নিজেই একটা চমক। তারপরও নতুন চমক থাকবে। এটা ঈদের পর দেখবে সবাই। ঈদের পর জোরালো প্রচার চালাব। আমার জনপ্রিয়তা ও কর্মী-সমর্থক অনেক আছে ঢাকায়। এরই মধ্যে তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমি জয়ী হব।’
বগুড়ার মতো ঢাকাতেও প্রতীক হিসেবে চেয়েছেন একতারা। হিরো আলম বলেন, ‘আমি বগুড়ার নির্বাচনে একতারা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছি। তাই আমি ঢাকা-১৭ আসনে নির্বাচনে একতারা প্রতীক চেয়েছি। আশা করছি এ প্রতীক পেয়ে যাব। আমি যতটুকু জেনেছি আর কেউ এই প্রতীক চাননি।’
সম্প্রতি হিরো আলমের সঙ্গে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থের নাম জড়িয়ে কিছু গুজব ছড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দাবি করা হচ্ছে, হিরো আলমকে নির্বাচনের বিষয়ে সহযোগিতা করছেন পার্থ।
একটি মহলের দাবি, আলমকে সাক্ষর সংগ্রহে সহযোগিতা করেছেন ব্যারিস্টার পার্থ। সেইসঙ্গে তাকে ২০ লাখ টাকাও দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমকে হিরো আলম জানান, টাকা নেয়ার প্রশ্ন তো দূর, তার সঙ্গে কখনো (আন্দালিব রহমান পার্থ) দেখাই হয়নি আমার।
এর আগে গত ১ ফেব্রুয়ারি বগুড়ার দুটি সংসদীয় আসনে একতারা প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন হিরো আলম।
এর মধ্যে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে অল্প ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন তিনি। আর বগুড়া-৬ (সদর) আসনে ৫ হাজার ২৭৪ ভোট পেয়ে চতুর্থ হন।
তফসিল অনুযায়ী, ঢাকার গুলশান, বানানী ও ক্যান্টনমেন্ট থানার কিছু এলাকা নিয়ে গঠিত এ আসনে উপ-নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন ছিল ১৫ জুন। ২৫ জুন পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সুযোগ রাখা হয়। এরপর সোমবার (২৬ জুন) প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়।
গত ১৫ মে চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠানের (ফারুক) মৃত্যু হলে আসনটি শূন্য হয়। সংসদের কোনো আসন শূন্য হলে ৯০ দিনের মধ্যে উপ-নির্বাচন করতে হয়।
সেই হিসাবে আসনটিতে ১২ আগস্টের মধ্যে উপ-নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তাই আগামী ১৭ জুলাই সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ করা হবে।
সোনালী/জেআর