চার খাতে দুর্নীতির ৩২ উৎস, নির্মূলে সমন্বিত উদ্যোগে জোর
অনলাইন ডেস্ক: সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর ও বিভাগের দুর্নীতির উৎস চিহ্নিত করে তা প্রতিরোধ অথবা দমনে একগুচ্ছ সুপারিশ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। একইসঙ্গে রাষ্ট্রীয় এই সংস্থাটি মনে করে দুর্নীতি দুর করতে দরকার সমন্বিত উদ্যোগ ও সবার সহযোগিতা।
দুর্নীতি দমন কমিশনের ২০২০-২০২১ বার্ষিক প্রতিবেদনে চারটি খাতে দুর্নীতির ৩২টি সুনির্দিষ্ট উৎস চিহ্নিত করে তা নির্মুলে ৩৯ সুপারিশ করেছে কমিশন। বার্ষিক এই প্রতিবেদন রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দিয়েছে দুদক।
দুদকের সুপারিশ ‘প্রত্যাশা অনুযায়ী’ বাস্তবায়ন হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ। আর সুপারিশের পাশাপাশি কমিশনকেও তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
দুদকের বার্ষিক প্রতিবেদনে সরকারি গুরুত্বপর্ণ চার দপ্তরের ৩২ দুর্নীতির উৎসের কথা বলা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি নির্মুলে কমিশন দিয়েছে ৩৯ সুপারিশ। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ, সাবরেজিস্ট্রি অফিস ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
তবে বছরের পর বছর কমিশনের এই ধরনের সুপারিশ প্রস্তুত করা ও তা প্রতিবেদন আকারে সরকারের কাছে দেওয়ার এই প্রক্রিয়াকে বিশ্লেষকদের কেউ কেউ পণ্ডশ্রম মনে করেন।
দুদকের সাবেক মহাপরিচালক (লিগ্যাল) ও সাবেক জেলা জজ মো. মঈদুল ইসলাম ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘দুদক আর ট্রান্সফারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল তো এক না। আমরা বহু বছর ধরে দেখে আসছি সুপারিশ দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন হচ্ছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুদক সরকারের দুর্নীতি প্রতিরোধী একটি সংস্থা। আমি মনে করে দুদক চিহ্নিত জায়গাগুলোতে কাজ করুক। বেশি বেশি মামলা করুক। আর মামলার আলোকেই সুপারিশ করুক। দুর্নীতি প্রতিরোধে সুপারিশ না করে সক্রিয় কাজ করতেই কমিশনকে জোর দিতে হবে।’
সুপারিশ বাস্তবায়ন হয় না, বলছেন খোদ চেয়ারম্যান
দুদক চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ সুপারিশের বিষয়ে বলেন, ‘দুর্নীতি নির্মূলে সরকারের কাছে আমরা যে সুপারিশ করি তা প্রত্যাশা অনুযায়ী বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এগুলো বাস্তবায়ন করে একটা মেকানিজম করে দিতেও সুপারিশ করেছি। আর সুপারিশের আলোকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে স্ব স্ব দপ্তর বা মন্ত্রণালয়। কেবিনেট ডিভিশন।’
সুপারিশ বাস্তবায়ন দুদকেরই কাজ, বলছেন ইফতেখারুজ্জামান
টিআইবি নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘বার্ষিক প্রতিবেদনটি আমি এখনও দেখিনি। তবে আমি মনে করে কমিশনকে তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে।’
টিআইবির এই নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘দুর্নীতি প্রতিরোধে দুদকের করা সুপারিশ বাস্তবায়নে দুদককেই কাজ করতে হবে। শুধু সুপারিশ করলেই চলবে না। সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা তার সুষ্ঠু মনিটরিংও তাদের থাকতে হবে।’
দুদকের করা ৩৯ সুপারিশ
সরকারি চার প্রতিষ্ঠানের ৩২টি দুর্নীতির উৎস খুঁজে বের করে এসব প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি নির্মূলে ৩৯ সুপারিশ রয়েছে কমিশনের বার্ষিক প্রতিবেদন। এর মধ্যে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের দুর্নীতির ১০টি উৎস দমনে ৫টি সুপারিশ করেছে সরকারের কাছে।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ৫ সুপারিশ:
১. লাইসেন্স প্রদান ও নবায়নের ক্ষেত্রে অনলাইন আবেদন, ফি গ্রহণ ও অনুমোদন প্রদানের ব্যবস্থা চালু করা ও মোবাইল অ্যাপ্স ব্যবহারের পদ্ধতি চালু করা। এসব প্রক্রিয়া সহজ করা, সুনির্দিষ্ট তথ্য ওয়েবসাইটে সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে হবে।
২. ঔষধ প্রশাসন দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে নিজস্ব আইনজ্ঞ, একাধারে ঔষধ সংক্রান্ত মৌলিক জ্ঞান ও আইন উভয় বিষয়ে বিশেষজ্ঞ নিয়োগ।
৩. দোকানে লাইসেন্স ও ফার্মাসিস্ট রাখা পর্যায়ক্রমে বাধ্যতামূলক করা। চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ও ফার্মাসিস্ট ব্যতীত ঔষধ ক্রয়-বিক্রয় করা এবং ডাক্তার ছাড়া অন্য কারো দ্বারা রোগীর চিকিৎসা করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা।
৪. নিম্নমানের ঔষধ প্রস্তুত রুখতে ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলোকে লাইসেন্স দেওয়ার পর নির্দিষ্ট সময় অন্তর যথাযথভাবে ঔষধের গুণগতমান পরীক্ষা করা। ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি কর্তৃক ডাক্তারদের বিভিন্ন গিফ্ট যেমন দেশ-বিদেশ ভ্রমণ, গৃহ-আসবাব, মূল্যবান উপহার প্রভৃতি প্রদানের বিষয়ে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ।
৫. বিভিন্ন মেডিক্যাল ডিভাইস এবং কোম্পানিভেদে ঔষধের মূল্য যুক্তিসঙ্গত হারে নির্ধারণ করে দিয়ে তা প্রতিপালনের বিষয়টি কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করা। একটি মূল্য নির্ধারক নীতিমালা থাকা উচিত বলে মনে করে দুদক।
সড়ক পরিবহন খাতে দুর্নীতি প্রতিরোধে ৭ সুপারিশ
১. ডিজিটাইজড তথ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা । তথ্য কেন্দ্র থেকে প্রত্যেক
সেবাগ্রহীতাকে একটি করে টোকেন নম্বর দেবে, যাতে তিনি সংশ্লিষ্ট বুথের সঙ্গে সংযুক্ত হতে পারেন।
২. বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়ার মতো অনলাইন আবেদন গ্রহণ করা। মোটরযান পরিদর্শন পরবর্তী আবেদন গ্রহণ ডেস্কে সার্বক্ষণিকভাবে একজন কর্মচারী আবেদন গ্রহণের জন্য উপস্থিত রাখা
৩. ফিটনেস পরিদর্শন পরবর্তী কার্যক্রম দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করতে করা ও যথাযথভাবে গাড়ি পরিদর্শন সাপেক্ষে ত্রুটিমুক্ত গাড়িসমূহকে
ফিটনেস প্রদান করা।
৪. ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও বায়োমেট্রিক গ্রহণের পরে সর্বোচ্চ এক মাসের মধ্যে ড্রাইভিং লাইসেন্স সরবরাহ করা।
৫. বেনামে গাড়ি রেজিস্ট্রেশন হলে অবৈধ গাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বর্তমানে বিআরটিএ কোনো আইনি ব্যবস্থা নেই।
এ বিষয়ে আইন প্রয়োগের সুযোগ থাকা প্রয়োজন।
৬. ফিটনেস, রেট্রো রিফ্লেকটিভ নাম্বার প্লেট, ডিজিটাল ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রভৃতি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রস্তুত করতে বিলম্বের কারণে অনেক সময় সরবরাহ করতে দেরি হয়। ঠিকাদারের কাজে আরো নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন।
৭. বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা-কর্মচারী বদলির ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট বদলি নীতিমালা করা প্রয়োজন। বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র ছাড়া লটারির মাধ্যমে বদলির ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দুর্নীতি ১০ উৎস ও প্রতিরোধে ১০ সুপারিশ
১. রেজিস্ট্রেশন কমপ্লেক্সে অবস্থিত সাব-রেজিস্ট্রি অফিসসমূহে রেজিস্ট্রেশন ম্যানুয়েল-২০১৪ ও রেজিস্ট্রেশন আইন-১৯০৮ যথাযথভাবে অনুসরণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মহাপরিদর্শক, নিবন্ধন পরিদপ্তরকে পরামর্শ প্রদান করা যেতে পারে।
২. বালাম বইয়ে রেজিস্ট্রেশন ম্যানুয়ালে বর্ণিত নির্ধারিত পদ্ধতিতে কপিকরণ নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করা, মূল দলিল গ্রহীতাকে তাৎক্ষণিক ডেলিভারি প্রদানের লক্ষ্যে তিন কপি দলিল সম্পাদন করে রেজিস্ট্রেশন করা। যাতে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দাতা ও গ্রহীতাকে এক কপি প্রদান করে এক কপি ভলিউমে উত্তোলনের জন্য সংরক্ষণ করা যায়। প্রতিটি দলিল ডাটাবেজে সংরক্ষণ করা।
৩. রেজিস্ট্রেশন ‘ফি’ হিসেবে প্রাপ্ত পে-অর্ডার, ব্যাংক ড্রাফ্ট রেজিস্টারে এন্ট্রিসহ সময়মতো সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে জমা প্রদান এবং সিটিআর রিপোর্ট সংগ্রহ নিশ্চিত করা। প্রয়োজন। বাংলাদেশের সকল সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সিটিআর রিপোর্ট ব্যাংকের সঙ্গে মিলিয়ে এক মাসের মধ্যে হালনাগাদ করা।
৪. জমির হাল নাগাদ খতিয়ানের কপি সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে সংরক্ষণ নিশ্চিত করা প্রয়োজন এবং সে অনুযায়ী দলিল রেজিস্ট্রি করার পূর্বে জমির মালিকানা সংক্রান্ত বিষয় নিশ্চিত হওয়া। এসএমএসের মাধ্যমে দাতা ও গ্রহিতাকে জানিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করা গেলে জাল দলিল হওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস পাবে।
৫. আইন সংশোধনের মাধ্যমে জাল দলিল বাতিল ও সংশোধনের আপিল ও রিভিউ ক্ষমতা জেলা রেজিস্ট্রার ও তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা
আই.জি.আরকে আইনের দ্বারা অথরিটি দেওয়া।
৬. সম্পাদিত দলিলের দাতা/গ্রহীতা, দলিল মূল্য ও জমির বিবরণের ডাটাবেজ তৈরি করা। এর ফলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মৌজার গড় মূল্য সহজে পাওয়া যাবে এবং ক্রয়-বিক্রয় করা জমি সহজে চিহ্নিত করা যাবে।
৭. সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও সাব রেজিস্ট্রি অফিস একই কর্তৃপক্ষের অধীনে এনে একই কমপ্লেক্সে স্থাপন করা। জমি রেজিস্ট্রেশন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নামজারি/জমাভাগের কাজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পন্ন করা যায়।
৮. দুর্নীতিমুক্ত জনসেবা নিশ্চিতকরণ ও সরকারি রাজস্ব আদায়ের স্বার্থে রেজিস্ট্রেশন সম্পাদনের সময় বিক্রীত জমির প্রকৃতি (যেমন- নালা, চালা, ডোবা, নাল, ভিটি ইত্যাদি) নিশ্চিত হওয়ার জন্য ভূমি জরিপ অধিদপ্তর কর্তৃক জরিপ কার্য সম্পাদন শেষে এর কপি সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে প্রদান করার ব্যবস্থা করা।
৯. রেজিস্ট্রেশন কমপ্লেক্স, ঢাকা-এর সকল পর্যায়ে ডিজিটাইজেশন/অটোমেশন পদ্ধতি চালু করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে পরামর্শ প্রদান করা।
১০. সাব-রেজিস্ট্রার ও স্টাফ বদলির ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট বদলির নীতিমালা থাকা প্রয়োজন। বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র ছাড়া লটারির মাধ্যমে বদলির ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি প্রতিরোধে সুপারিশ
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন অধিদপ্তরসমূহের দুর্নীতির উৎস চিহ্নিত করে তা দূরীকরণে প্রজেক্ট, কোয়ালিটি কন্ট্রোল, প্রশিক্ষণ, স্থাপনা নির্মাণ, লাইসেন্স প্রদানে অনিয়ম ও সরকারি অর্থ অপচয়ে অনিয়ম সংক্রান্ত বিষয়ে ১৭টি সুপারিশ করেন।
প্রজেক্টে অনিয়মে ৫ সুপারিশ করেছে
১. প্রজেক্ট ম্যানেজেমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম সব জায়গায় চালু করা; ২. প্রজেক্টের কেনাকাটার ক্ষেত্রে ই-জিপি সিস্টেম বেশি পরিমাণে চালু রাখা; ৩. টেন্ডারে কোটেশন যতসম্ভব কম করা; ৪. প্রজেক্টের পিডি নিয়োগে স্বচ্ছতা আনা এবং ৫. হেডকোয়ার্টারে প্রকল্পের সেল থাকবে এবং তারা ডিপিপি পাশ করবে।
মান নিয়ন্ত্রণে তিন সুপারিশ:
বিশেষজ্ঞ কর্মকর্তা নিয়োগের ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়কে কম সম্পৃক্তকরণ, সার্টিফিকেট/লাইসেন্স/নিবন্ধন/অনাপত্তি সনদ ব্যবস্থাপনা সফটওয়্যারের বিকাশ সাধন ও ব্যবহার এবং বিদেশে মাছ পাঠানোর সময় সৎ কর্মকর্তাদের দিয়ে স্যাম্পলিং করা ও কার্যক্রম মনিটরিং করা
একইভাবে প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে দুর্নীতি প্রতিরোধে করেছে ৪টি সুপারিশ, ডিজিটাল/লাইভ ভিডিওর মাধ্যমে ট্রেনিং মনিটরিং করা, ট্রেনিংয়ের ভাতা ব্যক্তিগত হিসাবে প্রদানের ব্যবস্থা করা, ট্রেনিং কার্যক্রমে ও ব্যবস্থাপনায় সফটওয়্যার ব্যবহার করা ও অনলাইনে এন্ট্রি দিয়ে এনআইডি নিয়ে ট্রেনিং নেয়ার ব্যবস্থা করা
এছাড়া স্থাপনা নির্মাণে দুর্নীতির ২টি সুপারিশ, লাইসেন্স প্রদান অনিয়ম ঠেকাতে একটি ও সরকারি অর্থ অপচয়ে দুটিসহ মোট পাঁচটি সুপারিশ করা হয়। এর মধ্যে ই-জিপি সফটওয়্যারের প্রয়োজনীয় আপগ্রেডেশন এবং ই-জিপি নীতিমালার প্রয়োজনীয় সংশোধন; দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ, লাইসেন্স/নিবন্ধন/অনাপত্তি সনদ ব্যবস্থাপনা সফটওয়্যারের বিকাশ সাধন ও ব্যবহার, সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা সফটওয়্যারের বিকাশ সাধন এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আওতাধীন দপ্তরসমূহকে সংযুক্ত করা ও অডিট নিষ্পত্তি প্রক্রিয়ার ডিজিটাইজেশন করা।