কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে রাবিতে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম
স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন রাজশাহী সেন্টার তিন দিনব্যাপি বহুমুখী সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।
গত ২৯ মে থেকে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন রাজশাহী সেন্টারের পরিচালক আইনজীবী কায়সার পারভেজ মেহেদীর নেতৃত্বে ১৩০ জন স্বেচ্ছাসেবক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবন ও রাস্তার পাশে পড়ে থাকা কাগজ, প্লাস্টিক বোতলসহ আবর্জনা পরিস্কার করার অভিযানে অংশ নেন। ক্যাম্পাসকে পরিচ্ছন্ন রাখার মধ্য দিয়ে পরীক্ষা চলাকালে সকলের স্বাস্থ্য-সুরক্ষায় নিশ্চিত করা হয়।
কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন রাজশাহী সেন্টারের পরিচালক আইনজীবী কায়সার পারভেজ মেহেদী বলেন, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন সৃষ্টির সেবামূলক কাজ করে আসছে গত ৩০ বছর ধরে। এরই ধারাবাহিকতায় রাজশাহী সেন্টার গত তিন বছর ধরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন অ্যাডমিশন টেস্ট হয়, তখন রাবি প্রশাসনের অনুমতিক্রমে আমরা এখানে কয়েকটি সেবা দিয়ে আসছি।
তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন সেবা, অ্যাম্বুলেন্স সেবা, অক্সিজেন সিলিন্ডার সেবা এবং দুজন ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে প্রাথমিক সেবা করে আসছি। এই সৃষ্টির সেবার মধ্যে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন সেবা যেটা করি আমরা, সেটা করার অন্যতম কারণ হচ্ছে যাতে করে আমাদের আশেপাশের মানুষকে সচেতন করতে পারি। কারণ, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা সারা বাংলাদেশ থেকে প্রচুর মানুষের এখানে সমাগম হয় এবং আমাদের অনেক তরুণ প্রজন্ম এই পরীক্ষায় অংশ নেয়।
তিনি আরও বলেন, আমাদের স্বেচ্ছাসেবকরা যারা আছেন, তারা যখন এই কাজগুলো করেন তখন স্বাভাবিক ভাবেই আরেকজন সচেতন হয়ে যান, তিনিও মনে মনে তখন ভালো কাজ করছেন, আমি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হব তখন এমন মানবিক কাজে সম্পৃক্ত হব। আসলে এ কাজগুলোর মাধ্যমে একটি মানুষকে বা তরুণ প্রজন্মকে তার মনের ভিতরে যে সুপ্ত ভালো কাজ করার ইচ্ছা লুকিয়ে থাকে সেটাকেই জাগ্রত করার একটা ক্ষুদ্র প্রয়াস হচ্ছে এই পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ। এই প্রিয় মতিহার ক্যাম্পাস পরিস্কার থাক সেই লক্ষ্যেই কাজ করছি।
এ বিষয়ে আরও জানতে চাইলে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন রাজশাহী সেন্টারের কো-অর্গানিয়ার মাহমুদুল হাসান তুষা বলেন, আমাদের লক্ষ্যই একটা সেটা হলো মানুষকে সেবা দেয়া। এই যে ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে আমাদের এই শহরে প্রায় ছয় লাখ মানুষের আগমন। এতগুলো মানুষ তাদের কাছে আমরা একটা পজেটিভ মেসেজ দিতে চাচ্ছি যারা নিজেরা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকি, প্রত্যেকটি মানুষ যদি ব্যক্তি জায়গা থেকে আমরা সচেতন হই সামগ্রিক পরিসরটা পরিবর্তিত হবে।
তিনি বলেন, আমরা এখানে ১৩০ জন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছি সকল বয়সী। একদম স্কুলগামী বাচ্চারা শুরু করে তাদের বাবা মারাও আছেন। আমরা সবসময় চেষ্টা করছি মানুষের সেবা করার জন্য।
এ সময় বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে প্রশাসনিক ভবন, সিনেট ভবন, রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবন, শহীদুল্লাহ কলা ভবন, মমতাজউদ্দিন ভবন, সিরাজী ভবন, টুকিটাকি, শহীদ মিনার, রাকসু ভবন, কেন্দ্রীয় ক্যাফেটারিয়া, শেখ রাসেল স্কুলের মাঠসহ সকল জায়গায় পরিচ্ছন্ন অভিযান চালায় তারা।
সোনালী/জেআর