জানাজায় যাওয়ার পথে সড়কে প্রাণ গেল বাবা-ছেলেসহ ৩ জনের
অনলাইন ডেস্ক: শ্বশুরের মৃত্যুর খবর শুনে বাবাকে নিয়ে তড়িঘড়ি করে শ্বশুরবাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন তৌহিদুল ইসলাম। কিন্তু শ্বশুরবাড়ি পৌঁছানোর আগেই সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল বাবা-ছেলের। দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাক্টরে মোটরসাইকেল ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনায় ঘটে।
এ ঘটনায় বাবা-ছেলে ছাড়া আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও একজন। তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার সকালে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে দেবীডুবা ইউনিয়নের কালুরহাট কাটহারী এলাকার বোদা-দেবীগঞ্জ সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- বোদা পৌরসভা তিতোপাড়া গ্রামের আলমাস আলী (৫৫), তার বড় ছেলে তৌহিদুল ইসলাম (৩৫) এবং একই এলাকার রজব আলীর ছেলে আমিন শেখ (৪৮)। এ ঘটনায় নিহত আমিন শেখের ছোট ভাই সালেকুল ইসলাম (৩৫) গুরুতর আহত হন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আজ ভোরে শ্বশুর মানিক হোসেনের মৃত্যুর খবর পান তৌহিদুল ইসলাম। শ্বশুরের মৃত্যুর খবর শুনে বাবা আলমাস আলীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ির উদ্দেশে রওনা হন তিনি।
এ সময় প্রতিবেশী আমিন শেখ ও তার ভাই সাদেকুল ইসলামকেও নিজের মটরসাইকেলে তুলে নেন তৌহিদুল। পথিমধ্যে বোদা-দেবীগঞ্জ জেলা সড়কের কাটহারী এলাকায় পৌঁছালে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি কাঠবোঝাই ট্রাক্টরের সঙ্গে তাদের মটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে।
এতে সড়কের পাশে ছিটকে পড়ে তৌহিদুল ইসলাম ও আমিন শেখ ঘটনাস্থলেই মারা যান।
গুরুতর আহত অবস্থায় তৌহিদুলের বাবা আলমাস আলী ও সাদেকুল ইসলামকে উদ্ধার করে দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তৌহিদুলের বাবা আলমাস আলীও মারা যান।
দেবীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ হোসেন বলেন, পরিবার ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের আবেদনে নিহতদের মরদেহ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে নিহতের স্বজনরা কোনো অভিযোগ দায়ের করলে আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর ট্রাক্টর রেখে চালক ও তার সহকারী পালিয়ে যায়। কাঠবোঝাই ট্রাক্টরটি জব্দ করে থানায় আনা হয়েছে। একই মটরসাইকেলে চারজন যাওয়ার বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সোনালী/জেআর