গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে ৩ টাকার বেশি বাড়ানোর সুপারিশ
অনলাইন ডেস্ক: ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম তিন টাকা ১১ পয়সা বাড়িয়ে ১২ টাকা ৪৭ পয়সা নির্ধারণ করার সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) গঠিত কারিগরি (মূল্যায়ন) কমিটি।
সোমবার রাজধানীর নিউ ইস্কাটনের বিয়াম অডিটোরিয়ামে গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলোর গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবিত দামের ওপর গণশুনানিতে এ সুপারিশ করা হয়।
পেট্রোবাংলা প্রস্তাবিত পাইকারি দরের ওপর শুনানিতে বলা হয়, পেট্রোবাংলা গ্যাসের ঘনমিটার প্রতি ১৫ টাকা ৩০ পয়সা নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে। বিকালের অধিবেশনে গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানির ট্রান্সমিশন চার্জের ওপর গণশুনানি গ্রহণ করা হবে।
কমিটির পক্ষ থেকে মূল্যায়ন কমিটির প্রধান দিদারুল আলম বলেন, ‘আমরা ২০২১-২০২২ অর্থবছরের গ্যাস আমদানির রিয়েল ডাটা যাচাই করেছি। সে হিসাবেই এই দামের সুপারিশ করেছি।
শুনানির শুরুতে বিইআরসি চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল বলেন, ‘বিইআরসি প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্যহার নির্ধারণ করে আসছে। কমিশন হচ্ছে আধাবিচারিক ব্যবস্থা, এখানে যুক্তি ও প্রমাণের মাধ্যমে মূল্যহার নিধারণ করা হয়।
এর আগে স্বাগত বক্তব্যে বিইআরসি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল জলিল বলেন, ‘প্রাকৃতিক গ্যাসের মূল্য নির্ধারণে গণশুনানি শুরু হয়েছে। আগামী চারদিন শুনানি চলবে। গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলো তাদের প্রস্তাবনা উত্থাপন করবে। আমরা শুনব। আমাদের বিচারক টিম থাকবে। চুলচেরা বিশ্লেষণের পরই আমরা সিদ্ধান্ত নেব। আমরা অমানবিক হবো না।’
এদিকে বর্তমানে প্রতি ঘনমিটার গ্যাস বিক্রি হচ্ছে ৯ টাকা ৩৬ পয়সায়। পেট্রোবাংলা গ্যাসের ঘনমিটার প্রতি ১৫ টাকা ৩০ পয়সা নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে। কিন্তু প্রতি ঘনমিটারে ৩ টাকা ১১ পয়সা গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করে ১২ টাকা ৪৭ পয়সা নির্ধারণ করা যেতে পারে বলে সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) গঠিত কারিগরি (মূল্যায়ন) কমিটি।
এ সময় কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল, সদস্য মকবুল ই ইলাহী চৌধুরী, বজলুর রহমান, মোহাম্মদ আবু ফারুক উপস্থিত ছিলেন।