ঘূর্ণিঝড় মোখার গতিমুখ অনুযায়ী ঝুঁকিতে কক্সবাজার
অনলাইন ডেস্ক: দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের সুস্পষ্ট লঘুচাপটি রাতেই নিম্নচাপে পরিণত হবে। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে এটি বুধবার (১০ মে) ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
বর্তমানে এটির যে গতিমুখ তাতে ঝুঁকিতে রয়েছে কক্সবাজার।
ভারত ও বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস এমন তথ্য জানিয়েছে।
আবহাওয়াবিদ ড. আবুল কালাম মল্লিক বলেন, আমাদের গাণিতিক মডেল আছে; সেটা কক্সবাজার, টেকনাফ এসব এলাকা এবং আশপাশে মিয়ামানের এলাকাগুলো নির্দেশ করছে। তবে এটি এখনো নিম্নচাপে পরিণত হয়নি।
মধ্যরাতের দিকে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এরপর এটি ধীরে ধীরে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
এদিকে ভারতের আবহাওয়া বিজ্ঞানী আনন্দ কুমার দাশ জানিয়েছেন, বুধবার নিম্নচাপটি দক্ষিণ-মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং আন্দামান সাগরের কাছাকাছি দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে।
এরপর প্রথম দিকে বৃহস্পতিবার (১১ মে) এটি উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। এরপর গতিমুখ পরিবর্তন করে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উপকূলের দিকে আসবে।
চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিসের উপ-পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ড. মো. ছাদেকুল আলম বলেন, যদি এটি এখন উত্তর-পশ্চিম দিকে যায়, তবে বাংলাদেশ-মিয়ানমার উপকূলে আসবে।
আর যদি আরও উত্তর দিকে যাওয়ার পর গতিমুখ পরিবর্তন করে তবে বাংলাদেশের উপকূলে আসবে। এক্ষেত্রে আগামী রোববার (১৪ মে) উপকূলে উঠতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় মোখা নামটি ইয়েমেনের দেওয়া। কফির জন্য বিখ্যাত স্থানীয় একটি বন্দরের নাম মোখা। কালক্রমে সেখানকার কফির নামকরণও করা হয়েছে মোখা। ইংরেজিতে শব্দটি Mocha লেখা হলেও এর উচ্চারণ Mokha।
সোনালী/জেআর