ঢাকা | নভেম্বর ২৪, ২০২৪ - ১১:২৪ পূর্বাহ্ন

রেশমের সমস্যা সমাধানে মন্ত্রণালয়ে যাচ্ছে বোর্ডের প্রতিনিধি দল

  • আপডেট: Tuesday, May 2, 2023 - 3:22 pm

স্টাফ রিপোর্টার: সম্প্রতি রাজশাহী রেশম কারখানার শ্রমিকদের বকেয়া মজুরিসহ কারখানার অন্যান্য সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে শীঘ্রই পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ে যাচ্ছে রেশম উন্নয়ন বোর্ডের একটি বিশেষ প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলে নেতৃত্বে দেবেন- বোর্ডের জ্যৈষ্ঠ সহ-সভাপতি ও রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা।

মঙ্গলবার সকালে রাজশাহীতে রেশম উন্নয়ন বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে বোর্ডের বিষয়াদি ও কার্যক্রম সম্পর্কে আয়োজিত সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের সভাপতি আনোয়ার হোসেন।

দীর্ঘ সময় ধরে মজুরি না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন রাজশাহী রেশম কারখানার শ্রমিকেরা। মজুরি পরিশোধের দাবিতে কারখানার গেটের সামনে একাধিকবার আন্দোলন করতেও দেখা গেছে তাদের। শ্রমিকেরা বলছেন, দীর্ঘ সময় মাস ধরে মজুরি না পাওয়ায় তারা অনেকটাই অসহায় পড়েছেন।

তাদের এই সমস্যা সমাধানে শুরু থেকেই জোরালো ভূমিকা রেখে আসছে রেশম উন্নয়ন বোর্ড। বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি দুপুরে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় রাজশাহী রেশম কারখানার শ্রমিকদের ছয় মাসের বকেয়া মজুরির বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরেন বোর্ডের সহ-সভাপতি ও স্থানীয় এমপি ফজলে হোসেন বাদশা। এসময় পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর‌ উপস্থিতিতে রেশম শ্রমিকদের বকেয়া বেতন ছাড়ের সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রণালয়। সিদ্ধান্তের তিন মাস পার হলেও আমলাতান্ত্রিক বিভিন্ন জটিলতা ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের একাধিক ‘কোয়ারির (প্রশ্ন)’ কারণে শ্রমিকদের বকেয়া বেতন আটকে আছে।

এমন পরিস্থিতিতে আজ সকালে অনুষ্ঠিত রেশম উন্নয়ন বোর্ডের সভায় আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও শ্রমিকদের বকেয়া মজুরির সমস্যা নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়। পরে এসব নিয়ে কথা বলতে রেশম উন্নয়ন বোর্ডের একটি বিশেষ প্রতিনিধি দল শীঘ্রই পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সভা সূত্রে জানা গেছে, বোর্ডের জ্যৈষ্ঠ সহ-সভাপতি ও রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা এই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন।

এ নিয়ে জানতে চাইলে এমপি ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধ না করা অত্যন্ত অমানবিক। তিন মাস আগে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালনা পর্ষদের সভায় শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে এটি আটকে আছে। রেশম বোর্ডের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের স্বার্থে যা-যা করণীয় আমরা সবকিছুই করেছি। এখন এটি সম্পূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছে। এসব নিয়ে আজকের সভা থেকে রেশম বোর্ডের একটি প্রতিনিধি দলের মন্ত্রণালয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আশা করছি, খুব শীঘ্রই রাজশাহী রেশম কারখানার বিভিন্ন সমস্যার সুরাহা হবে।

সোনালী/জগদীশ রবিদাস