ঢাকা | ডিসেম্বর ৩০, ২০২৪ - ১১:০৯ অপরাহ্ন

জোহা দিবসকে জাতীয় শিক্ষক দিবস ঘোষণার দাবি

  • আপডেট: Saturday, February 18, 2023 - 4:19 pm

স্টাফ রিপোর্টার: আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহারের দাবি এবং সার্জেন্ট জহুরুল হক হত্যার প্রতিবাদে ১৪৪ ধারা ভেঙে ১৯৬৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি রাস্তায় নেমেছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। তাদের ওপর পাকিস্তানি সেনারা গুলি করার প্রস্তুতি নিলে ছুটে আসেন রাবির তৎকালীন প্রক্টর ড. শামসুজ্জোহা।

ছাত্রদের সামনে দাঁড়িয়ে সেনাদের বলেছিলেন, ‘ডোন্ট ফায়ার, আই সেইড ডোন্ট ফায়ার! কোনো ছাত্রের গায়ে গুলি লাগার আগে যেন আমার বুকে গুলি লাগে।’ সত্যিই সেদিন ছাত্রদের গায়ে গুলি লাগার আগে ঝাঁঝরা হয়েছিল তার বুক।

এই দিনটিকে জাতীয় শিক্ষক দিবস হিসেবে ঘোষণার দাবি অনেক দিনের। দেশে বছরে অসংখ্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালন করা হলেও এ দিবসটি জাতীয়ভাবে পালন করা হয়নি আজও! বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির রাজশাহী মহানগরের নেতারাও একই দাবি জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, এ দাবির সঙ্গে ওয়ার্কার্স পার্টিও একমত।

শহীদ ড. শামসুজ্জোহার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার বেলা ১১টার দিকে তার সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের তারা এসব কথা বলেন। এর আগে ড. শামসুজ্জোহার সমাধিতে এমপি ফজলে হোসেন বাদশার পক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়।

ওয়ার্কার্স পার্টির নেতারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আজকের এই দিনটি জাতীয়ভাবে শিক্ষক দিবস ঘোষণা দাবি জানানো হচ্ছে। রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা এটি নিয়ে পার্লামেন্টেও কথা বলেছেন। কিন্তু আজও স্বীকৃতি মিলেনি। আমরা চাই, এই দিনটিকে জাতীয় শিক্ষক ও শিক্ষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হোক।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রামানিক দেবু, সম্পাদকমণ্ডলির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, সিরাজুর রহমান খান, আব্দুল মতিন, মহানগর সদস্য মাসুম আক্তার অনিক, শাহীনুর বেগম, মহানগর যুবমৈত্রীর সাংঠনিক সম্পাদক মোহাইমিনুল হক রানা, যুবনেতা হারুনুর রশীদ, রাবি শাখা শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বীমান চক্রবর্তী, ফয়সাল আহমেদ রাতুল, নাসরিন আক্তার, নগর ছাত্রমৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক বিজয় সরকার, প্রচার সম্পাদক ইফতিক হাসান প্রমুখ।

সোনালী/জগদীশ রবিদাস