পদদলিত হয়ে ১৩৩ জনের মৃত্যু, স্টেডিয়াম ভেঙে ফেলবে ইন্দোনেশিয়া
অনলাইন ডেস্ক: পূর্ব ইন্দোনেশিয়ার মালাংয়ের কানজুরহা স্টেডিয়ামে ১ অক্টোবর শনিবার রাতে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে মাঠে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দুই দলের মাঠের লড়াইয়ের শেষে, দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে পদপিষ্ট হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১৩৩ জন। সেই স্টেডিয়াম ধ্বংস করে পুনর্নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো। মঙ্গলবার রাজধানী জাকার্তায় ফিফার প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর সঙ্গে বৈঠকের পর এই ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
স্টেডিয়াম ট্র্যাজেডির পরিপ্রেক্ষিতে ইন্দোনেশিয়া এবং ফিফা একটি যৌথ টাস্ক ফোর্স গঠনে সম্মত হওয়ার পরে এবং দেশটি অগামী বছর অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য প্রস্তুত হওয়ার পরে উভয়ের মধ্যে বৈঠক হয়।
বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে উইদোদো বলেন, মালাংয়ের কানজুরহা স্টেডিয়াম ভেঙে ফেলব এবং ফিফার মান অনুযায়ী পুনর্নির্মাণ করব। তিনি বলেন, নতুন নির্মিত স্টেডিয়ামে খেলোয়াড় এবং সমর্থক— উভয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিতে যথাযথ ব্যবস্থা থাকবে। এসময় ফিফার প্রেসিডেন্ট ইনফান্তিনো বলেন, আমরা এই দেশে ফুটবলের সংস্কার ও রূপান্তর করব।
ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো এবং ফিফার প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো
গত ১ অক্টোবর পূর্ব জাভার মালাং শহরের স্টেডিয়ামে ম্য়াচ ছিল জাভার দু’টি ক্লাব পার্সিবায়া সুরাবায়া ও আরেমার। পার্সেবায়া এই ম্যাচে ৩-২ ব্যবধানে হারিয়ে দেয় আরেমাকে। আরেমা সেই ম্য়াচে হারতেই ওই দলের সমর্থকরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। আরেমার ক্ষুব্ধ দর্শকরা ম্যাচের শেষে মাঠে ঢুকে পড়েন। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশরা প্রচুর টিয়ার গ্যাসের ব্যবহার করেছিল। কিন্তু ওই সময় স্টেডিয়ামের একটি গেটই সেই সময় খোলা ছিল, সেই কারণে সকলেই ওই গেট দিয়ে বেরোনোর চেষ্টা করে। তার ফলেই হুড়মুড়িয়ে দর্শকরা পড়ে যেতে থাকেন।
দীর্ঘ তদন্তের পর, কর্মকর্তারা গত সপ্তাহে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছেন যে ঘটনার পিছনে প্রধান কারণ ছিল স্টেডিয়ামে পুলিশের টিয়ার গ্যাস ব্যবহার যা ফিফা দ্বারা নিষিদ্ধ।
এছাড়াও দেশটির প্রধান নিরাপত্তা মন্ত্রী মাহফুদ এমডি এক ইন্সটাগ্রাম পোস্টে বলেন, ধারণক্ষমতার চেয়ে স্টেডিয়ামে দর্শকের উপস্থিতি ছিল অনেক বেশি। তিনি বলেন, স্টেডিয়ামে ৩৮ হাজার দর্শকের ধারণক্ষমতা থাকলেও টিকিট বিক্রি করা হয়েছিল ৪২ হাজার।
সূত্র: আলজাজিরা