যে কোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে
অনলাইন ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্বজুড়েই একটা মন্দাভাব চলছে। যুদ্ধ-বিগ্রহে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি। বিভিন্ন দেশে খাদ্য ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে। আমাদেরকেও সেভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে।
ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ বন্ধ না হলে এবং নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা না হলে আগামীতে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির এত ভয়াবহ অবস্থা হতে পারে। যা এখন কল্পনাও করা যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। এমন পরিস্থিতিতে সারা বিশ্বেই দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
বুধবার বিকেলে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের অভিজ্ঞতা জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধামন্ত্রী বলেন, আমরা এখনো অনেক দেশের তুলনায় ভালো অবস্থানে আছি। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতির ব্যাপারে আমরা সব সময়ই সতর্ক আছি। আমি তো বলেছি আমাদের ভূমি আছে। ফসল ফলাও, খাবার খাও। নিজেদের উৎপাদিত ফসলেই চাহিদা মেটাতে হবে।
এ সময় সরকারের একাধিক মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারাও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা বলেন, জ্বালানি তেলের আমদানি উৎস বহুমুখীকরণের লক্ষ্যে গত ২৮ আগস্ট ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন লিমিটেডকে (আইওসিএল) জিটুজি ভিত্তিতে জ্বালানি তেল সরবরাহকারী হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। আইওসিএলের অন্তর্ভুক্তির ফলে তুলনামূলক স্বল্প সময়ে ও সাশ্রয়ী মূল্যে ডিজেল, অকটেন, ফার্নেস তেল, এভিয়েশন ফুয়েল আমদানি করা সম্ভব হবে। এতে দেশের জ্বালানিনিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে।
ভারত সফরে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্জন হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী লিখিত বক্তব্যে বলেন, কুশিয়ারা নদীর পানিবণ্টনে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর, যার মাধ্যমে ১৫৩ কিউসেক পানি প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত। ভুটানের সঙ্গে রেল যোগাযোগ ও অন্যান্য আন্তসীমান্ত রেলসংযোগে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা হবে।