চারঘাটে গরুর ল্যাম্পিং স্কীন ডিজিজ
চারঘাট প্রতিনিধি: চারঘাটে গরুর শরীরে ল্যম্পিংস্কীন ডিজিজ রোগ দেখা দিয়েছে। বেশ কিছুদিন থেকে চারঘাট উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গরুর শরীরে ল্যম্পিংস্কীন ডিজিজ নামে রোগ দেওয়ায় এলাকাবাসী ও গরু খামারিদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
সূত্র মতে, উপজেলার শলুয়া ও নিমপাড়া ইউনিয়নে গরুর শরীরে এ রোগটি বেশি দেখা দিয়েছে। শলুয়া ইউনিয়নের হলিদাগাছী জাগিরপাড়া গ্রামের নইমুদ্দিনের ছেলে নজরুল ইসলাম বলেন, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে তার গৃহপালিত প্রায় দেড় লক্ষ টাকা মূল্যের একটি ষাড় গরুর শরীরে প্রথমে গুটি বসন্তের মত ক্ষত দেখা দেয়। এরপর সে পশু ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছে তবে তেমন কোন উন্নতি হয়নি বলে জানান।
হলিদাগাছী এলাকার ইসমাইল হোসেনের একটি লক্ষাধিক টাকা মূল্যের গরু, দৌলতপুর গ্রামের মুন্তাজ সোনারের একটি গরু, জাগিরপাড়া গ্রামের বাবলুর একটি গরু, চারঘাট মেরামতপুর গ্রামের মাহবুব আলমের একটি গরু অনুরূপ একই রোগে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানান তারা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চারঘাট উপজেলা (ভারপ্রাপ্ত) প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নাজনিন নাহার বলেন, উপজেলার সর্বত্রই গরুর শরীরে ল্যাম্পিংস্কীন ডিজিজ নামক রোগটি দেখা দিয়েছে। এ রোগের জন্য সরকারিভাবে কোন ভ্যাকসিন এখনো পাওয়া যায়নি। তবে আমি নিজে প্রত্যেকটি এলাকায় গিয়ে গরু খামারিদের সতর্কতামূলক পরামর্শ দিচ্ছি। যেমন গরুর খামার বা ঘর পরিষ্কার রাখতে হবে, গরুকে নিয়মিত গোছল করাতে হবে এবং গরুকে মশা মাছির হাত থেকে রক্ষা করতে হবে । তাছাড়া গরুর শরীরে যেন রোদ লাগে, দিনের বেলায় এমন জায়গায় রাখতে হবে।
তিনি বলেন, চারঘাট উপজেলায় মোট গাভী খামার ৩১২টি ও ষাঁড় গরুর খামার ৬৫০টি রয়েছে। উপজেলায় মোট ৫৮ হাজার ৫শ গরু রয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি আরও বলেন, চলতি মৌসুমে বর্ষণ কম হওয়ায় এ রোগটি দেখা দিয়েছে। তবে আতঙ্কিত না হয়ে গরুর যত্ন নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।