ঢাকা | ডিসেম্বর ২২, ২০২৪ - ২:২৯ অপরাহ্ন

দুর্গাপুর পৌর মেয়র তোফাজ্জল হোসেনের দাফন সম্পন্ন

  • আপডেট: Monday, August 22, 2022 - 10:57 pm

দুর্গাপুর প্রতিনিধি: দুর্গাপুর পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার বেলা ১১টার সময় দুর্গাপুর সরকারী মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ও দুপুর ২টার সময় মেয়রের নিজ গ্রাম ধরমপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাযার নামাজ শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এর আগে গত রোববার রাত ১১টার সময় ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

তাঁর জানাযায় উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দুর্গাপুর -পুঠিয়া আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল ওয়াদুদ দারা, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, দুর্গাপুর-পুঠিয়া আসনের সংসদ সদস্য ডা. মনসুর রহমান, পবা-মোহনপুর আসনের সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন, দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম, পুঠিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিএম হিরা বাচ্চু, চারঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একরামুল হক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল রানাসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সর্বস্তরের জনগণ।

মেয়রের বড় ছেলে মনিরুজ্জামান মনি জানান, তার বাবা লিভার সিরোসিস রোগে আক্রান্ত ছিলেন। গত ২৭ জুলাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়। পরে স্বাস্থ্যের অবনতি হলে তাকে একটি বেসরকারী হাসপাতালের আইসিইউতে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার রাত ১১টার দিকে তিনি মারা যান।

উল্লেখ, তোফাজ্জল উপজেলার ৩ নম্বর পানানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। এরপর তিনি ২০০৯ সালে থেকে টানা তিনবার আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে দুর্গাপুর পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন। এছাড়াও ২০০৩ সালে প্রথম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এরপর ২০২২ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত টানা ২০ বছর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

এদিকে, মেয়রের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকার, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা, স্থানীয় এমপি ডা. মনসুর রহমানসহ রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ।