ঢাকা | নভেম্বর ২৪, ২০২৪ - ৩:৩৫ অপরাহ্ন

রাজশাহীতে সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে আহত যুবক এখনও শঙ্কাটাপন্ন

  • আপডেট: Sunday, March 13, 2022 - 10:39 pm

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীতে গত বৃহস্পতিবার সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে অন্তর (১৯) নামে এক যুবক গুরুতর আহত হন। তিনি এখন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তাঁর শারীরীক অবস্থা এখনও শঙ্কাটাপন্ন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসক।

এদিকে অন্তরকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় গত শনিবার নগরীর মতিহার থানায় অন্তরের বাবা আলী হোসেন বাদী হয়ে নগরীর হাদির মোড় এলাকার মাছ ব্যবসায়ী ভাদুর ছেলে সজিব (২১), রানীনগর শহীদ মিনার এলাকার রিপন কসাই এর ছেলে লিয়ন (২২) ও তালাইমারী শিশু কবরস্থান এলাকার মৃত বাবর আলীর ছেলে বিশালকে (২২) আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় দিকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে উপরোক্ত আসামীরা তালাইমারী হযরত খাজা মঈনুদ্দিন চিশতী (রহঃ) গরিবে নেওয়াজ এর খানকা শরীফ এর পশ্চিম পার্শে শিশু কবরস্থান সংলগ্ন ব্লক রাস্তায় ছেলে অন্তরের পথরোধ করে এলোপাথারিভাবে মারপিট করতে শুরু করে। এ অবস্থায় অন্তর চিৎকার শুরু করলে আসামী সজিব ধারালো চাকু দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে পেটে ও পেটের ডান পার্শে আঘাত করে।

এজাহারে আরো উল্লেখ করা হয়, ছুরির আঘাতে অন্তর মাটিতে লুটিয়ে পরলে আসামী লিয়ন ধারালো চাকু দিয়ে ডান হাতের কব্জিতে আঘাত করে অনেকটা কেটে ফেলে। সেইসাথে অন্য আসামী বিশাল পিছন থেকে বাম হাটুর উপরে চাকু দিয়ে আঘাত করলে রক্তাক্ত অবস্থায় অন্তর মাটিতে লুটিয়ে পরেন। এই সুযোগে আসামীরা অন্তরের পকেটে থাকা আশি হাজার টাকা বের নিয়ে চলে যায় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। আহত অবস্থায় আশে পাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এখন তিনি অত্র মেডিকেলের ৪নং ওয়ার্ডের ৬নং বেডে চিকিৎসারত অবস্থায় আছেন।

আহত অন্তরের বাবা আলী হোসেন বলেন, ছেলের চিকিৎসার জন্য থানায় মামলা করতে দেরী হয়েছে। গত শনিবার এ নিয়ে তিনি মামলা করলেও এখনো আসামীরা গ্রেফতার হয়নি। ছেলের আঘাতকারী সকল আসামীতে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান তিনি।

এ মামলা ও আসামী গ্রেফতার বিষয়ে জানতে চাইলে মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার আলী তুহিন বলেন, মামলা হয়েছে, তদন্ত চলছে। আসামী গ্রেফতারে চেষ্টা করা হচ্ছে। দ্রুত আসামীদের আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।