ঢাকা | মে ৬, ২০২৫ - ৪:০৪ পূর্বাহ্ন

আ.লীগের বাড়িতে গুলি, জিজ্ঞাসাবাদে মুখ খোলেনি দুই আসামি

  • আপডেট: Saturday, August 13, 2022 - 11:55 pm

 

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী নগরীর মুন্সিডাঙ্গা এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে গুলির ঘটনায় দুই আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে নিয়েও মুখ খোলেনি তারা। গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুইদিন রিমান্ড নেয়া হয় আসামিদের।

এর আগে গত শনিবার দিবাগত রাতে সিটি হাটের ইজারাদার ও বোয়ালিয়া থানা (পূর্ব) আওয়ামী লীগের সভাপতি আতিকুর রহমান কালুর বাড়িতে গুলির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার দুজন পুলিশের রিমান্ডে গিয়েও কোনো তথ্য দেননি। এ দুই আসামিকে গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। গত বুধবার রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১-এর বিচারক মো. রেজাউল করিমের আদালতে সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরদিন থেকে দুই আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ।

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গতকাল শনিবার আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ দুই আসামি হলেনÑপ্রাইম ব্যাংকের সাবেক পরিচালক ওয়াহিদ মুরাদ জামিল ওরফে লিংকন (৫৬) ও তার সহযোগী সজল আলী (২৫)।

গ্রেপ্তার ওয়াহিদ ‘এভারেস্ট হোমস’ নামের একটি ডেভেলপার কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এ ছাড়া তিনি প্রাইম ব্যাংক, প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটি, প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড, ফারইস্ট ইসলামী সিকিউরিটিজ লিমিটেডের পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ওয়াহিদের গাড়িচালক, দেহরক্ষী ও ব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করেন সজল।

গত শনিবার দিবাগত রাতে নগরীর মুন্সিডাঙ্গা এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতা আতিকুর রহমান কালুর বাসার সামনে যান ওয়াহিদ ও সজল। এ সময় ওয়াহিদ তার হাতে থাকা পিস্তল দিয়ে পাঁচ রাউন্ড গুলি করেন। এর মধ্যে তিন রাউন্ড গুলি করা হয় কালুকে লক্ষ্য করে। পরে ওয়াহিদ ও সজল প্রাইভেট কার নিয়ে পালানোর সময় পুলিশ থামানোর সংকেত দিলে চেকপোস্টে পুলিশকে লক্ষ্য করে আরও এক রাউন্ড গুলি করা হয়। পরে ওই রাতেই নগরীর উপশহরে ওয়াহিদের বাসা থেকে পিস্তল, শটগান ও বিপুল পরিমাণ গুলিসহ ওয়াহিদ ও সজলকে আটক করে পুলিশ। এ নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে নগরীর বোয়ালিয়া থানায় দুটি মামলা হয়েছে।

বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা কালু দাবি করেন তিনি আসামিদের চেনেন না। কেন হামলা তা তিনি জানেন না। আবার গ্রেপ্তারের পর দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারাও গুলি ছোড়ার কারণ জানাননি। তাই তাদের রিমান্ডে নেওয়া হয়। তবে রিমান্ডেও তারা মুখ খোলেননি। ওয়াহিদ বারবার একই কথা বলেছেন। কেন গুলি করেছেন তা তিনি নিজেই জানেন না বলে পুলিশকে জানিয়েছেন। এর ভেতরে একটা রহস্য লুকিয়ে আছে। পুলিশ নিজেদের মতো করেও ঘটনা তদন্ত করছে। আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে বলে তিনি আশাবাদী।

 

Hi-performance fast WordPress hosting by FireVPS