ঢাকা | নভেম্বর ১৪, ২০২৪ - ১০:৩৫ অপরাহ্ন

রাবি ছাত্রকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় উগ্রবাদী দুজন গ্রেপ্তার

  • আপডেট: Saturday, March 12, 2022 - 9:22 pm

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক ছাত্রকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে মহানগরীর মতিহার থানার জাহাজঘাট এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। গ্রেপ্তার দুজন হলেন- সালাউদ্দিন ওরফে বাপ্পী (২৭) ও নবাব শরীফ (২৭)। শনিবার দুপুরে র‌্যাব-৫ এর সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল রিয়াজ শাহরিয়ার বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা উগ্রবাদী ছাত্র রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। বর্তমানে তারা বিভিন্ন ধরণের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন। সালাউদ্দীন বাপ্পী নগরীর বিনোদপুর এলাকার মসজিদ মিশন একাডেমী স্কুল থেকে মানবিক বিভাগে ২০১০ সালে এসএসসি পাস করেন। পরে বিনোদপুর ইসলামীয়া ডিগ্রি কলেজ থেকে মানবিক বিভাগে ২০১২ সালে এইচএসসি পাস করেন। এরপর রাজশাহী নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজ থেকে ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিষয়ে ২০১৬ সালে অনার্স পাস করেন। বর্তমানে ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিষয়ে রাজশাহী কলেজে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত।

আর নবাব শরীফ রাজশাহীর মির্জাপুর হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। বর্তমানে তিনি কাপড়ের দোকানের কর্মচারী। তার অন্যান্য ৫ ভাইয়ের মধ্যে আব্দুস সালাম (৪২) নামে এক ভাই হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। আর জাহাঙ্গীর আলম (৩৫) নামের আরেক ভাই হত্যা মামলার ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। নবাব ইতোপূর্বে উগ্রবাদী ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন বলে র‌্যাব জানিয়েছে।

র‌্যাব আরো জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা ঘটনার সাথে তাদের জড়িত থাকার কথাটি স্বীকার করেছেন। রাবি ছাত্রের ওপর হামলার ঘটনায় ৫ থেকে ৭ জন সরাসরি জড়িত ছিলেন। বাপ্পি এবং নবাব ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। আসামিদের মতিহার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও র‌্যাব জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৯ মার্চ রাত ১১টার দিকে নগরীর ধরমপুর পূর্বপাড়া এনআর ছাত্রাবাসে এক শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। আহত ওই শিক্ষার্থী রাবির পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তার নাম সাফফাত নায়েম নাফি (২০)। এ ঘটনায় তার বন্ধু শরীফুল ইসলাম বাদী হয়ে সাতজনকে আসামি করে মতিহার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।