ঢাকা | ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ - ১০:২৬ অপরাহ্ন

বিয়েতে গড়িমশি করায় প্রেমিককে খুন করে গুম, দুই তরুণী গ্রেপ্তার

  • আপডেট: Thursday, June 16, 2022 - 10:04 pm

 

স্টাফ রিপোর্টার: বিয়ে করতে গড়িমশি করায় রাজশাহীতে এক তরুণী শ্বাসরোধ করে তাঁর কথিত প্রেমিককে হত্যা করেছেন। পরে আরেক তরুণীর সহায়তায় লাশ গুম করে রেখেছিলেন। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ওই দুই তরুণীকে আটক করে তাঁদের দেখানো স্থান থেকেই লাশ উদ্ধার করে।

এ নিয়ে ওই দুই তরুণীর বিরুদ্ধে থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারেও পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার দুই তরুণী হলেন- রাজশাহী মহানগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার সায়েরগাছা মহল্লার একরামুল ইসলাম ভাদুর মেয়ে মেরিনা খাতুন (২১)ও একই এলাকার ঈশা হকের মেয়ে নেশা খাতুন (২২)।

নিহত যুবকের নাম রশিদুল মন্ডল (২৫)। নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার পয়লান গ্রামে তার বাড়ি। বাবার নাম জহির মন্ডল। রশিদুল পেশায় নির্মাণ শ্রমিক। তিনি মাঝে মাঝে ধান কাটাসহ অন্যান্য কাজের জন্য রাজশাহীতে আসতেন। এই সুবাদে প্রায় এক বছর আগে মেরিনা খাতুনের সাথে পরিচয় হয় এবং প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। মেরিনা খাতুন গৃহকর্মীর কাজ করতেন।

কাশিয়াডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাসুদ পারভেজ জানান, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে রশিদুল সায়েরগাছার এক বাড়িতে মেরিনার সাথে দেখা করতে যান। সেখানে মেরিনা রশিদুলকে বিয়ের কথা বলেন। রশিদুল পরিবারের সাথে কথা বলে পরে জানাবেন বলে জানান। কিন্তু মেরিনা রাতেই বিয়ে করার জন্য চাপ দেন ও জোর জবরদোস্তি করতে থাকেন।

রাত ১১ টায় রশিদুল সেখান থেকে চলে যেতে চাইলে মেরিনা তাকে বাঁধা দেন। এ সময় দুজনের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে মেরিনা খাতুন ধাক্কা দিয়ে রশিদুলকে ফেলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। বাড়ির লোকজন ঘুম থেকে উঠার আগেই সকাল ৭টায় মেরিনা অপর আসামি নেশা খাতুনকে ডেকে দুজনে মিলে মৃতদেহ বাড়ির ছাদের স্টোর রুমে রেখে তালা মেরে দেন।

ওসি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাঁরা এ ধরনের একটি খুনের ঘটনা জানতে পারেন। এরপর বুধবার প্রথমে মেরিনাকে আটক করে জেরা হয়। এতে তিনি সব স্বীকার করেন। এ সময় তাঁর দেখানো স্থান থেকেই লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়। গ্রেপ্তার করা হয় নেশা খাতুনকেও। এ নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহটিও পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান ওসি মাসুদ পারভেজ।