ঢাকা | মে ১৮, ২০২৪ - ৯:১১ অপরাহ্ন

দেশে আবারও করোনা বিধিনিষেধ ফেরানোর সুপারিশ

  • আপডেট: Thursday, June 16, 2022 - 3:00 pm

অনলাইন ডেস্ক: দেশে আবারও বাড়ছে মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। এমন পরিস্থিতিতে বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের জন্য ‘কোভিড নেগেটিভ’ সনদ এবং টিকা সনদ বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ করেছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।

একইসাথে জনসমাগম বর্জন, মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা এবং ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ নীতি পুনরায় চালুর পরামর্শ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কমিটির প্রধান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি জানান, বুধবার কমিটির ৫৮তম সভা থেকে সরকারের কাছে এসব সুপারিশ রাখা হয়েছে।

দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ২০২০ সালে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে বিদেশফেরত যাত্রীদের জন্য কোভিড-১৯ নেগেটিভ সনদ থাকা বাধ্যতামূলক করে সরকার। সংক্রমণ কমে আসায় সম্প্রতি ওই বাধ্যবাধকতা তুলে নেয়া হয়েছিলো।

গত ৯ মার্চ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, পূর্ণ দুই ডোজ টিকা নেয়া থাকলে বাংলাদেশে আসতে করোনাভাইরাসের নেগেটিভ সনদ লাগবে না। কিন্তু ওই ছাড় এখন আর নিরাপদ হবে না বলে মনে করছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।

তিন মাস পর বুধবার করোনাভাইরাসে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আবার দুইশ ছাড়িয়েছে। পাশাপাশি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে দৈনিক শনাক্তের হারও তিন শতাংশের বেশি থাকছে দুদিন ধরে, যা টানা কয়েক সপ্তাহ এক শতাংশের নিচে ছিলো।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সেসব দেশে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন এবং উপধরনে সংক্রমণের হার বেশি, সেসব দেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের মাধ্যমে বাংলাদেশে ভাইরাস ছড়াচ্ছে বলে মনে করছে কমিটি।

এজন্য বিমান, স্থল ও নৌ বন্দরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। বিশেষ করে অধিক আক্রান্ত দেশগুলো থেকে আসা যাত্রীদের জন্য প্রয়োজনে কোভিড-১৯ নেগেটিভ সনদ, টিকা সনদ আবশ্যক করতে হবে। সন্দেহজনক ব্যক্তিদের র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের ব্যবস্থা করতে হবে।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এদিকে ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

সোনালী/জেআর