ঢাকা | অক্টোবর ১৮, ২০২৪ - ১১:১৬ পূর্বাহ্ন

স্কুলের মাঠে খড়ি ও কাঠের হাট

  • আপডেট: Sunday, June 12, 2022 - 9:47 pm

 

নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নিয়ামতপুর সরকারী বহুমূখী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ দখল করে গড়ে উঠেছে কাঠের হাট ও খড়ির ব্যবসা। এতে ব্যহত হচ্ছে মাঠের পরিবেশ। নানা প্রতিবন্ধকতা ও বিড়ম্বনায় পড়ছেন খেলোয়াড়রা। অথচ নাকের ডগায় প্রতিনিয়ত এমন হাট চললেও যেন খেয়াল নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। এমন অভিযোগ স্কুলের শিক্ষার্থী, ভুক্তভূগী খেলোয়াড় ও পরিবেশবাদীদের। অভিযোগ রয়েছে, কর্তৃপক্ষ মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এমন হাটের অনুমতি দিয়েছেন ব্যবসায়ীদের।

সরেজমিনে দেখা গেছে, মাঠের পূর্বপাশের  জায়গা দখল করে প্রতিদিন চলছে খড়ির জমজমাট হাট। খড়ির স্তুপে ঢাকা পড়েছে ফুটবলের গোলপোষ্ট। শুধু তাই নয়, খেলোয়াড়দের খেলার বল খড়ির স্তুপে পড়লেই নষ্ট হচ্ছে হরহামেশাই। ক্রিকেট বলও হারাচ্ছে প্রতিদিন। এছাড়াও মাঠের উত্তর পাশের গড়ে উঠেছে কাঠের হাট। এভাবেই মাঠের জায়গা ধীরে ধীরে দখলে চলে যাচ্ছে অন্যের হাতে। এতে করে দখলে যাওয়া মাঠের জায়গা পূনঃরুদ্ধার করতে ঘটতে পারে অনাকাঙ্খিত ঘটনা।

মাঠের নিয়মিত কয়েকজন খেলোয়াড় জানান, এ মাঠটি উপজেলার একমাত্র খেলার মাঠ। এ মাঠেই চলে ফুটবল ও ক্রিকেট খেলোয়াড়দের অনুশীলন। মাঠেই আসর বসে বড় বড় টুর্নামেন্টের। খেলা উপভোগ করতে আসা দর্শকদের বেশ বেগ পেতে হয়। তখন মাঠ জুড়েই দর্শকদের মুখে মুখে চলতে থাকে মাঠের এ চরম অব্যবস্থাপনার কথা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্কুলের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, এটি একমাত্র মাঠ হওয়ায় ভাগ করে করে প্রতিদিন একসাথে চলে ফুটবল ও ক্রিকেট খেলা। মূল মাঠে জায়গা না পেয়ে ছোটরাও খেলে এ মাঠের এক পাশের। কিন্তু মাঠ দখল হয়ে পড়ায় ছোটদের খেলা বন্ধ হয়ে গেছে অনেকদিন। এ নিয়েও অভিযোগ রয়েছে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

কথা হয় মাঠ দখল করে ব্যবসা করা খড়ির ব্যবসায়ী আব্দুস সামাদের সাথে। তিনি জানান, স্কুল কর্তৃপক্ষকে মাসিক মাসোহারা দিয়ে তিনি খড়ির ব্যবসা পরিচালনা করেন এখানে। যতটুকু জায়গা তিনি দখলে নিয়েছেন এতে খেলার পরিবেশ বিঘ্ন হওয়ার কথা না। তবে কর্তৃপক্ষ চাইলেই তিনি সরিয়ে নিবেন সব।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর কবির জানান, মাঠের অব্যবহৃত কিছু অংশ মানবিক কারণে কয়েকজন ব্যবসায়ীকে ব্যবহারের জন্য দেয়া হয়েছে। আর খড়ির স্তুপে মাঠের খেলোয়াড়দের অনুশীলনে অসুবিধা হচ্ছে এমনটি তার জানা নেই বা অসুবিধার কথাও কেউ তাকে বলেনি। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি।