ঢাকা | ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ - ৩:৫২ অপরাহ্ন

যে বিভাগেই পড়ুন, ইংরেজি পড়তে হবে: শিক্ষামন্ত্রী

  • আপডেট: Thursday, June 2, 2022 - 10:48 pm

স্টাফ রিপোর্টার: ইংরেজি শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘ইংরেজি এখন একটা টুল হয়ে গেছে। যে বিভাগেই পড়ুন না কেন, ইংরেজি বিষয়টা পড়তে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেন এটা নিশ্চিত করে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এসে ইংরেজি বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই।’

রাজশাহীর বেসরকারি বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী দশন এবং সাহিত্য পড়ার ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, ‘সকল শিক্ষার্থীর সাহিত্য এবং দর্শনও পড়া উচিত। কারণ একজন মানুষের সাহিত্যের বোধ থাকা দরকার। আর দর্শন জানা থাকলে তা সত্যিকার অর্থে এগিয়ে নিতে সাহায্য করে।’

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির কোন বিকল্প নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সব সময় বিজ্ঞান শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। তাই তিনি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নামেই বিশ্ববিদ্যালয় করেছেন। বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে তাঁর কন্যা অভিষ্ট লক্ষ্যের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। তার কল্যাণে উন্নয়ন পাচ্ছি।’ তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার কোন বিকল্প নেই। সরকার এ ব্যাপারে সাহায্য করছে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে আসতে পারছে না। সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের দিকে নজর রাখতে হবে। এ জন্য আমাদের তারুণ্যকে কাজে লাগাতে হবে। ভবিষ্যতের জন্য তাদের তৈরি করতে হবে।’

চাকরিদাতা ও চাকরিপ্রত্যাশীর মাঝে প্রত্যাশা পূরণ হচ্ছে না মন্তব্য করে দীপু মনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালগুলোকে শুধু ভাবলে হবে না যে শিক্ষার্থী ভর্তি নেব, শিক্ষা দেব, সার্টিফিকেট দেব আর ছেড়ে দেব। তাহলে হবে না। শিক্ষার্থীকে তার কর্মজীবনের জন্য প্রস্তুত করে দিতে হবে। তার ইন্টার্নশীপের ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলে শিক্ষার্থীকে পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না। দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে নিজেকে উপযুক্ত করে তুলতে হলে শেখাতে হবে কী করে তা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে জানতে হবে এবং সেভাবে কাজ করতে হবে।’

গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনারা লক্ষ্য স্থির করুন। আপনারা আপনাদের মেধা, যোগ্যতা, দক্ষতা ও শ্রম দিয়ে লেগে থাকবেন। লেগে থাকলে সাফল্য আসবেই। খেয়াল রাখবেন সেই সাফল্য যেন অসততায় কলুষিত না হয়। আপনাদের পেছনে পরিবারের এবং শিক্ষকদের অনেক শ্রম-কষ্ট জড়িত। আপনারা সবার প্রতি আপনাদের দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকবেন।’

বৃহস্পতিবার রাজশাহী নগরীর খড়খড়ি এলাকায় নির্মাণাধীন স্থায়ী ক্যাম্পাসে এই সমাবর্তন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে নয়টি বিভাগের সাড়ে তিন হাজারের বেশি গ্র্যাজুয়েট অংশ নেন। রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. আবদুল হামিদের পক্ষে এতে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে দুপুরে তিনি অনন্য কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে ‘চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল’ এবং নয়জন শিক্ষার্থীকে ‘ভাইস চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল’ দেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, সাবেক সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর, সাবেক ছাত্রনেতা ও সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শেখর ও ইউজিসি সদস্য ড. বিশ্বজিৎ চন্দ্র। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টিবোর্ডের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান, সাবেক কুটনীতিক সাইদুর রহমান খান, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ওসমান গণি তালুকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।