ঢাকা | ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪ - ৯:০৬ পূর্বাহ্ন

পবায় পুকুরখনন সিন্ডিকেটের চারজনকে সাজা প্রদান

  • আপডেট: Wednesday, June 1, 2022 - 10:37 pm

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর পবায় পুকুরখনন সিন্ডিকেটের চার সদস্যকে সাজা দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার উপজেলার বড়গাছীর কানপাড়া বিলে এ ঘটনা ঘটে। তাদের প্রত্যেককে দুই মাস করে বিনাশ্রম সাজা দেয়া হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালতে বিচারকের দায়িত্বে ছিলেন পবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লসমী চাকমা। এসময় উপস্থিত ছিলেন পবা থানা অফিসার্স ইনচার্জ ফরিদ হোসেন। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার মানিকহাটের আব্দুল গণির ছেলে জাহাঙ্গীর আলম, একই উপজেলার ভুরকুলিয়া গ্রামের গফুর মোল্লার ছেলে সেলিম মোল্লা, পাবনা জেলার বেড়া উপজেলার ভুপপুর গ্রামের মজনু শেখের ছেলে কোরবান আলী ও রাজশাহী জেলার পবা উপজেলার কানপাড়া গ্রামের নূর সাহেদের ছেলে সোহরাব আলী।

রাজশাহীতে পুকুর খননের কারণে আবাদি জমি কমে অর্ধেকে নেমে এসেছে। আর পবা উপজেলায় পুকুরখনন হচ্ছে উন্মুক্তভাবে। যার ফলে অপরিকল্পিত ভাবে পুকুর খননের জন্য ধানের যে জমি কমেছে এরচেয়ে বেশী ক্ষতি হচ্ছে আবাদে। জলাবদ্ধতার কারণে এক তৃতীয়াংশ জমি অনাবাদি হয়ে পরিত্যাক্ত জমিতে পরিণত হচ্ছে। গত ১০ বছরে বোরো ধানের জমি কমতে কমতে অর্ধেকে নেমে এসেছে।

পবা উপজেলার মত রাজশাহীর বরেন্দ্র অঞ্চলেও শুরু হয়েছে পুকুরখনন। আমবাগান, তিন ফসলি ও ধানের জমিতে পুকুর খনন বন্ধ করতে পারছেনা প্রশাসন। বর্তমানে রাজশাহীর খালে বিলে যেদিকে চোখ যায় শুধু বোরো জমিতে দেখা মেলে পুকুর আর পুকুর। এখন বোরো জমি বাদেও তিন ফসলি ও বিভিন্ন ফলদ বাগান ধ্বংস করে তা পুকুরে পরিণত করা হচ্ছে। ফলে প্রাকৃতিক পরিবেশ তার ভারসাম্য হারাচ্ছে। গত দশ বছর ধরে এই এলাকায় চলছে পুকুর খননের হিড়িক।

পুকুর খননকারীরা বলছেন, পুকুর খনন করতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও থানা শেষে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের ম্যানেজ করতে হয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জনকল্যাণে পুকুর খনন নয়, মাটি বিক্রির জন্যই এই পুকুরখননের হিড়িক। পুকর খনন বন্ধে প্রশাসনের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী।