ঢাকা | জানুয়ারী ১, ২০২৬ - ৩:৩৬ পূর্বাহ্ন

রাজশাহী নগরীতে ডেভিল হান্ট-এ ৪ জনসহ গ্রেপ্তার ২৪

  • আপডেট: Wednesday, December 31, 2025 - 11:33 pm

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী মহানগরীতে যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে পরিচালিত বিশেষ অভিযান ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২’-এর অংশ হিসেবে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ গত ২৪ ঘণ্টায় মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোট ২৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

বিশেষ অভিযানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা, বিস্ফোরণ ঘটানো, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ বিভিন্ন গুরুতর অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পাশাপাশি আরএমপির বিভিন্ন থানা ও ডিবি পুলিশের পৃথক অভিযানে আরও ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত ২০ জনের মধ্যে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ২ জন, মাদক মামলার আসামি ২ জন এবং অন্যান্য অপরাধে জড়িত ১৬ জন রয়েছেন।

অপারেশন ‘ডেভিল হান্ট ফেইজ-২’-এ গ্রেপ্তারকৃত আসামি নজরুল ইসলাম জুলু (৫২), সোহান (২২), মিজানুর রহমান (২৫) ও রবিন (২৭)। রাজশাহী মহানগর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক নজরুল ইসলাম জুলু রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার টিকাপাড়া এলাকার নজির শেখ ড্রাইভারের ছেলে। আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী সোহান মহানগরীর কর্ণহার থানার সায়েরপুকুর এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে। আওয়ামীলীগ সমর্থক মিজানুর রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থানার রাজাবাড়ী বিজয়নগর তালধারী এলাকার এরফান আলীর ছেলে ও যুবলীগ কর্মী রবিন মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার শেখেরচক পাচানীমাঠ এলাকার মোবারকের ছেলে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

এদিকে মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের পবা থানা ও কাটাখালী থানা পৃথক অভিযানে এ্যালকাহোল ও ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ ৩ জন মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে। অভিযানে ১২০ বোতলে মোট ১২ লিটার এ্যালকাহোল এবং ৫০ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- হাসিবুল হাসান (২১), মোহাম্মদ আলী (২৮) এবং তারিক মোহাম্মদ মনিম (৩২)। হাসিবুল বগুড়া জেলার সদর থানার পূর্ব পালসা গ্রামের নুর আলম সরকারের ছেলে, বর্তমানে রাজশাহী মহানগরীর নওহাটা এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। মোহাম্মদ আলী রাজশাহী জেলার চারঘাট থানার সারদা থানাপাড়া গ্রামের বাবুল আলীর ছেলে এবং তারিক মোহাম্মদ মনিম একই থানার মিয়াপুর গ্রামের ইব্রাহিম খলিলের ছেলে।

পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত সকল আসামিই বিক্রির উদ্দেশে মাদক রাখার কথা স্বীকার করেছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে এবং পলাতক আসামির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক মামলা দায়ের করে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।