ঢাকা | ডিসেম্বর ৩১, ২০২৫ - ৩:২৯ পূর্বাহ্ন

বাগমারায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার বিরুদ্ধে কনস্টেবলকে হত্যার হুমকি!

  • আপডেট: Tuesday, December 30, 2025 - 10:24 pm

বাগমারা প্রতিনিধি: বাগমারা গ্রামের বাসিন্দা কনস্টেবল নামাজুল ইসলামকে তাহেরপুর পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম মুঠোফোনে হত্যার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিজ বাসায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেছেন কনস্টেবল নামাজুল ইসলামের স্ত্রী নুর রোকসানা তামান্না। এসময় তার শ্বাশুড়ি নাসিমা বেগম ও ননদ ফারজানা হক উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তবে নুর রোকসানা তামান্না দাবি করেন, প্রতিবেশী আবুল হোসেনের সঙ্গে তাদের জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। ওই বিরোধের জেরে আবুল হোসেনের জামাই তাহেরপুর পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম গত ১৯ ডিসেম্বর বিকেলে ৩টা ৩৪ মিনিটে ০১৭২২-৮৩৪১৯৫ নম্বরের মুঠোফোন থেকে কল করে তার স্বামী নামাজুল ইসলামকে হত্যার হুমকি দেন। নামাজুল ইসলাম বর্তমানে পাবনা জেলা পুলিশ সদর কোর্টে কনস্টেবল পদে কর্মরত রয়েছেন। এ ঘটনায় কনস্টেবল নামাজুল ইসলাম ওই দিনই জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে বাগমারা থানায় একটি জিডি করেন। এরপর সামাজিক প্লাটফর্ম সোশ্যাল মিডিয়ায় তারা স্বামী কনস্টেবল নামাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা তথ্য দিয়ে অপপ্রচার চালানো হয়। এই ঘটনায় তিনি (নুর রোকসানা তামান্না) মঙ্গলবার সকালে প্রতিবেশী আবুল হোসেনের বাড়িতে গিয়ে তার স্বামীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাতে নিষেধ করেন।

এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আবুল হোসেনের বড় মেয়ে আকলিমা বিবি তাকে (নুর রোকসানা তামান্না) শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন এবং ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেন। বর্তমানে তিনি ৫ মাসের অন্ত:সত্ত্বা বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন। এই ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে তিনি বাদী হয়ে জাহাঙ্গীর আলম ও আকলিমা বিবির বিরুদ্ধে বাগমারা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাহেরপুর পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম তার বিরুদ্ধে অনিত অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেছেন। বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল আলম বলেছেন, কনস্টেবল নামাজুল ইসলামকে হত্যার হুমকির বিষয়ে থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। এছাড়া তার স্ত্রীর পক্ষ থেকেও একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।