ঢাকা | ডিসেম্বর ৩১, ২০২৫ - ৫:২৪ পূর্বাহ্ন

বাঘায় ফুটপাতে জমে উঠেছে শীতবস্ত্রের বাজার

  • আপডেট: Tuesday, December 30, 2025 - 10:33 pm

বাঘা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাঘাতে জেঁকে বসেছে শীত। বেশ ক’দিন ধরে শীতের প্রকোপে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। দিনদিন তাপমাত্রা কমে আসার ফলে শীতের তীব্রতা বেড়েই চলেছে। যার প্রভাব পড়েছে এলাকার খেটে খাওয়া কর্মজীবী মানুষের ওপর। উপজেলা সদরের ফুটপাতগুলোতে বেড়েছে শীতবস্ত্রের বেচাকেনা।

গতকাল মঙ্গলবার উপজেলা সদরের প্রাণকেন্দ্র উপজেলা মাজার গেটে অবস্থিত ফুটপাতপট্টিতে সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, মাটির ওপর পাটি কিংবা চট বিছিয়ে নানা ধরনের শীতবস্ত্রের পসরা নিয়ে বসে আছেন বিক্রেতারা। আর কম দামে এই শীতবস্ত্রগুলো কেনার জন্য চারপাশ ঘিরে ভিড় করছেন ক্রেতারা। মাটিতে, ভ্যানে ও টং সাজিয়ে শীতবস্ত্রের দোকানগুলোতে চোখে পড়বে রকমারী নতুন ও পুরনো শীতবস্ত্র। এসব দোকানে পাওয়া যাচ্ছে নতুন ও পুরনো কোর্ট, জ্যাকেট, সোয়েটার, চাদর, বিছানার চাদরসহ মহিলা ও শিশুদের নানা ধরনের বাহারী শীতের পোশাক।

উপজেলা মাজার গেটে ফুটপাতে শীতবস্ত্র বিক্রেতা অঅলেক চান বলেন, আমি এই উপজেলায় সারাবছর নানা ধরনের মৌসুমি কাপড় বিক্রি করি। অন্যান্য সময় দোকানে কোনো কোনো দিন ক্রেতার দেখা পর্যন্ত মেলে না। কিন্তু শীত মৌসুমে আমার দোকানে হরেক রকমের কালেকশন থাকায় কেনাকাটা বেশ ভালোই হয়। অন্যান্য সময়ের তুলনায় শীত মৌসুমে দোকানের বিক্রি বাড়ে প্রায় ৩/৪ গুণ।

শীতবস্ত্র ক্রেতা আব্দুল মান্নান জানান, বর্তমানে একটি শীতের কাপড় মার্কেটের ভালো কোনো দোকানে কিনতে গেলে সর্বনিম্ন টাকা লাগে ৫শ’ থেকে ১ হাজার। কিন্তু ফুটপাতে যেমন ভালো কাপড় পাওয়া যায়, ঠিক তেমনিভাবে দামটাও সাশ্রয়ী। এতে করে সাধ্যের মধ্যে বাচ্চাদের আবদার সহজেই পূরণ করতে পারি। এছাড়াও পছন্দমতো মানানসই কাপড়গুলোও মিলে এসব ফুটপাতের দোকানে।

শীতবস্ত্র ক্রেতা আবুল বাশার বলেন, সাশ্রয়ী মূল্যে কেনাকাটা করার জন্য এসেছি। তিনটি চাদর কিনেছি সাড়ে ৬শ টাকায়। এই চাদরগুলো অনেকটা মানসম্পন্ন। মার্কেটের কোনো দোকানে এই তিনটা চাদর কিনতে গেলে দুই হাজার টাকার নিচে পাওয়া যেত না।

শীতবস্ত্র বিক্রেতা রকসেদ শেখ বলেন, আমরা গরমকালের শেষদিকে গাঁট ধরে শীতবস্ত্রগুলো কিনে রাখি। শীত মৌসুমে সেসব কাপড় বের করে স্বল্প লাভে বিক্রয় করি। এতে ক্রেতা সাধারণ যেমন কমদামে কাপড় পায়, অপরদিকে আমরা ব্যবসায়ীরাও লাভবান হই।