রাজশাহী-৫ আসনে দলীয় প্রার্থী পরিবর্তন করে জামায়াতের চমক
পুঠিয়া প্রতিনিধি: আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে হঠাৎ প্রার্থী পরিবর্তনের মাধ্যমে রাজনৈতিক অঙ্গনে চমক সৃষ্টি করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
দলটি পূর্বঘোষিত প্রার্থী বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাজশাহী জেলা এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি নুরুজ্জামান লিটনের পরিবর্তে নতুন প্রার্থী হিসেবে পুঠিয়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মুনজুর রহমানকে প্রার্থী ঘোষণা করেছে।
এদিকে নতুন প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই জামায়াতের নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রার্থী পরিবর্তনের পর গতকাল রোববার দুপুরে পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার লিয়াকত সালমানের কাছ থেকে মাওলানা মুনজুর রহমানের পক্ষে মনোনয়ন ফরম উত্তোলন করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাজশাহী জেলা সুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মিনহাজুল ইসলাম।
দলীয় সূত্র জানায়, তৃণমূলের চাহিদা, সাংগঠনিক অবস্থান এবং নির্বাচনি মাঠে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে এই প্রার্থী পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নতুন প্রার্থী মাওলানা মুনজুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে জামায়াতের সাংগঠনিক কর্মকান্ডের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন এবং স্থানীয়ভাবে তিনি একজন সৎ, যোগ্য ও গ্রহণযোগ্য নেতা হিসেবে পরিচিত।
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের পুঠিয়া উপজেলা সভাপতি ও স্থানীয় জামায়াত নেতা আমিনুল ইসলাম ডালিম বলেন, মাওলানা মুনজুর রহমান একজন অভিজ্ঞ ও পরীক্ষিত সংগঠক। তাঁর নেতৃত্বে জামায়াত এই আসনে আরও সংগঠিত ও শক্ত অবস্থানে যেতে পারবে বলে আমরা আশাবাদী।
প্রার্থী মাওলানা মুনজুর রহমান বলেন, জনগণের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা, দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠন এবং ইসলামী মূল্যবোধ ভিত্তিক সুশাসন প্রতিষ্ঠাই আমার নির্বাচনি অঙ্গীকার। জনগণের দোয়া ও ভালোবাসা নিয়ে আমি এগিয়ে যেতে চাই।
এ ব্যাপারে নুরুজ্জামান লিটন বলেন, সংগঠন আমাকে প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন দিয়েছিলো। এখন চূড়ান্ত মনোনয়নে আমাকে না দিয়েছে মুনজুর ভাইকে দিয়েছে। এতে আমি সংগঠনকে শ্রদ্ধা এবং সু সংগঠিত করে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে ভোট করার জন্য মুনজুর ভাইকে সার্বিক সহযোগিতা করব এবং দাঁড়িপাল্লার পক্ষে নির্বাচনে মাঠে থেকে ভোট করবো ইনশাল্লাহ।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, জামায়াতের এই প্রার্থী পরিবর্তন রাজশাহী-৫ আসনের নির্বাচনি সমীকরণে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এতে দলটির নেতাকর্মীদের মাঝে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে এবং অনেকেই মনে করছেন, এই পরিবর্তন নির্বাচনি ফলাফলে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।











