ঢাকা | ডিসেম্বর ২৯, ২০২৫ - ৪:২৮ পূর্বাহ্ন

বাঘায় শীতে কাঁপছে জনজীবন

  • আপডেট: Sunday, December 28, 2025 - 10:19 pm

বাঘা প্রতিনিধি: টানা দ্বিতীয় দিনের মতো দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীর বাঘাতে। গতকাল রোববার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে আসে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এর আগের দিন গত শনিবার তাপমাত্রা ছিল ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ফলে বাঘায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকায় জনজীবনে চরম ভোগান্তি দেখা দিয়েছে। ঘন কুয়াশা ও হিমেল বাতাসের কারণে ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়েছে। যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করেছে।

প্রচন্ড শীতে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। মোটা কাপড়, জ্যাকেট ও মাফলার গলায় জড়িয়ে মানুষকে কাঁপতে কাঁপতে চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে। ঠান্ডায় জড়সড় হয়ে পড়ছে পশুপাখি।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, তাপমাত্রা ৮ দশমিক ১ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। ৬ দশমিক ১ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে হলে মাঝারি এবং ৪ দশমিক ১ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে বিবেচিত হয়।

পৌষের শুরু থেকেই রাজশাহীর বাঘায় কুয়াশা ও শীতের প্রকোপ বাড়তে থাকে। সন্ধ্যার পর বাঘা পৌর শহরের রাস্তাঘাট অনেকটাই ফাঁকা হয়ে যায়। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষজন। বাঘায় শ্রমজীবী মানুষ কাজের সন্ধানে জড়ো হলেও শীতের কারণে সেই সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে। কাজের অভাবে অনেকেই ফিরে যাচ্ছেন খালি হাতে।

বাঘা পৌর এলাকার নির্মাণ শ্রমিক আব্দুর রহমান ভুলু সঙ্গে তিনি বলেন, সকাল থেকে কাজের খোঁজে বের হয়েছি, কিন্তু এখনো কোনো কাজ পাইনি। ঠান্ডায় দাঁড়িয়ে থাকাই কষ্টকর। এদিকে বাজুবাঘা নতুনপাড়া এলাকার নির্মাণ শ্রমিক রিন্টু বলেন, এত শীতে বাইরে থাকা যায় না। তবু সংসারের তাগিদে বের হতে হয়। কাজও ঠিকমতো মিলছে না।

বাঘা বাস টার্মিনাল এলাকার ভ্যানচালক আক্কেল আলী বলেন, ঘন কুয়াশা আর শীতে সকালে বের হওয়া খুব কষ্টের। রোববার সকাল ১০টার পরে ভ্যান নিয়ে বের হয়েছি। রাস্তায় লোকজন কম, ভাড়াও মিলছে না। সরেজমিনে দেখা গেছে, মধ্যরাত থেকেই ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন চারপাশ। হাড় কাঁপানো ঠান্ডা আর হিমেল হাওয়ায় স্থবির হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।